পৃথিবীর উৎপত্তি হয়েছে তিনশ কোটি বছর আগে।
তখন এই গ্রহটি ছিল পানি দিয়ে ভরা, উপরিস্থলে দৃশ্যমান ছিল না কোন মাটি। পুরো পৃথিবীতে মাত্র .০১% মাটি ছিল কিন্তু তা ছিল পানির মধ্যে দ্রবীভূত অবস্থায়।
পানির মধ্যে ছিল দুটি উপাদান - হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন। এর সাথে পরে যোগ হয় সূর্যের আলো ও তাপ। হাইড্রোজেন, অক্সিজেন আর সূর্য্যের আলোর সমাহারের ফলে ধীরে ধীরে জলজ প্রাণীর সৃষ্টি হয়। জলজ প্রাণীর মৃত্যুর পর তাদের দেহাবশেষ মাটিতে রপন্তর হয়। এভাবেই খুব ধীরে ধীরে মাটির সৃষ্টি হতে থাকে। পৃথিবী সৃষ্টি হবার একলক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার বছর পরে দশ ভাগ মাটির উপস্থিতি ঘটে এবং পানির ভেতর থেকে মাটির একটা অংশ ভেসে উঠে। প্রথম যে অংশ চর হয়ে জেগে উঠে, সে স্থানটাই হচ্ছে বর্তমানের মক্কা নগরী। অন্য ভাবে দেখতে গেলে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যে মাটির সৃষ্টি হয় তা আজকের মক্কা নগরী আর তার মধ্যস্থল হচ্ছে কাবা শরীফ।
পৃথিবী নামক এই গ্রহে অনেক বার মহা প্লাবন হয়েছে। প্রতিবারই পৃথিবীর যে স্থল সর্বপ্রথম জেগে উঠে, মানে মক্কা নগরী, নিরাপদে থেকেছে। এই অংশ প্লাবিত হয়নি। হিসাবে দেখা যায় বারো হাজার বছর পর পর পৃথিবীতে এক একটা মহাপ্লাবণ হয়েছে। সর্বশেষ মহা প্লাবণ হয়েছে আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে, হযরত নুহের সময়।
যদি আর সাত হাজার বছর পরে আবারও প্রকৃতীর নিয়মে আর এক মহাপ্লাবণ হয় তখন মক্কা নগরীর কাছাকাছি যারা থাকবে তারাই হয়তো নিরাপদে থাকবে। তবে ততদিনে মানুষ বিজ্ঞানের জোরে এক মিনিটেই অতিক্রম করতে পারবে হাজার হাজার মাইল। থাকবে না তেমন একটা আঞ্চলিক সীমারেখাও।
রাজনৈতিক বাস্তবতা অর্থনৈতিক গণ্ডীর মধ্যে পরিচালিত হবে। সেই সময়ে কেউ যদি জাহাজ নিয়ে অপেক্ষায় থাকে, সেই জাহাজে কারা উঠবে তা অনুমান করা দুঃসাধ্য।
Comments