Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2015

নিকোলা টেসলা দ্যা ম্যাড সাইন্টিস্ট

থমাস আলভা এডিসন ছিলেন লাইট বাল্বের উদ্ভাবক। তিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানী জেনারেল ইলেকট্রিকের জনক। তাই তিনি জুড়ে আছেন আমাদের বিজ্ঞান বইয়ে ,  জ্ঞান প্রতিযোগিতার প্রশ্নে আর টিভির বিজ্ঞাপনে। কিন্তু থমাস আলভা এডিসনের এই লাইট বাল্ব জ্বলে নিভে নিকোলা টেসলার উদ্ভাবিত এসি প্রযুক্তি দিয়ে। এডিসনের উদ্ভাবিত ডিসি পদ্ধতি মার খায় নিকোলা টেসলার এসি প্রযুক্তির কাছে।  ১৯০৯ সালে রেডিও আবিষ্কারের জন্য গুগিলমো মার্কোনি পদার্ত্থবিজ্ঞানে নোবেল পরস্কার পান। নোবেল কমিটি জানতে পারেনি রেডিও প্রযুক্তির নেপথ্যে নিকোলা টেসলার অবদান। ১৮৯৮ সালেই টেসলা বেতার তরঙ্গনির্ভর রিমোট কন্ট্রোলার তৈরি করেন এবং তা দিয়ে দূর থেকে একটি নৌকা চালান। বেশির ভাগ লোকই তার এই উদ্ভাবনকে ম্যাজিক বা টেলিপ্যাথি মনে করেছিল। টেসলা ২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিসে “ System of Transmitting Electrical Energy ” এবং “ Electrical Transmitter ” পেটেন্ট করার আবেদন করেন। আর মার্কোনি করেন ১৯০০ সালের ১০ নভেম্বর। পরে টেসলা কোর্টে যান তার রেডিও আবিষ্কারের স্বীকৃতির জন্য। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট টেসলার আবিষ্কারের স্বীকৃতি দেয় তার

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে যাওয়া

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আপাতদৃষ্টিতে যতটা নিষ্পাপ মনে হয় ততটা ঠিক নয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে আসে ‘নির্মম প্রবৃদ্ধি’ যেখানে ধনীরা আরও ধনী হয় এবং গরীব আরও গরীব হয়। আসে ‘অপসংস্কৃতির প্রবৃদ্ধি’ যেখানে মানুষ নিজের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ভুলে যায়। আরও  আসে ‘ভবিষ্যতহীন প্রবৃদ্ধি’ যেখানে বর্তমান প্রজন্ম ভবিষ্যত প্রজন্মের সম্পদ অপচয় করে। এগুলো ‘uneconomies’; বাংলায় অপঅর্থনীতি। গত ত্রিশ বছরে শক্তির দক্ষতা, বুদ্ধির দক্ষতা চমকপ্রদভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মনে হচ্ছে এই শক্তির দক্ষতা, বুদ্ধির দক্ষতা দিয়ে আরও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা নাও হতে পারে কারণ প্রাকৃতিক সম্পদ চিরদিন থাকবেনা। মানব জাতি ইতিমধ্যে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদের একটা বিশাল পরিমান ব্যবহার করে ফেলেছে। ভবিষ্যতে উৎকৃষ্ট দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি তৈরী হবে কিন্তু তারা প্রাকৃতিক সম্পদ পাবে না কিছুই। প্রাকৃতিক সম্পদের এই সঙ্কট একটা নিম্নগামী প্রক্রিয়া যা আমাদেরকে ক্রমশ দেউলিয়াপনার দিকে ধাবিত করবে। ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ মূলত একটি ভাবাদর্শ বা আইডিওলজি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একটা দেশের আপারময় মানুষের অর্থ ও সুখ নিশ্চিত করত

মওলানা ভাসানীর ভবিষ্যৎবাণী

মওলানা ভাসানী হঠাৎ হঠাৎ দুই-একটা ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী করতেন এবং তা বিস্ময়করভাবে ফলে যেত। এরকম একটা ফলেছিল তাঁর মৃত্যুর পর। আইয়ুববিরোধী সর্বদলীয় আন্দোলনের সময় মওলানা ভাসানী বলতেন, "আমি আওয়ামী লীগ ( তখন তিনি ন্যাপ করতেন ) সহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোট বেঁধে আন্দোলন করতে পারি কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর সাথে থাকব না। যে জোটে জামায়াত আছে, সেই জোটে আমার ন্যাপ থাকবে না। জামায়াত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের এজেন্ট।" জামায়াতে ইসলামী ভাসানীর বক্তব্যে ক্রুদ্ধ ছিল। ১৯৭০ সালে মওলানা ভাসানী পশ্চিম পাকিস্তান সফরে গেলে শাহীওয়াল রেলস্টেশনে জামায়াতে ইসলামীর গুন্ডারা ভাসানীর ওপর আক্রমন করে। কোমল পানীয় বোতল দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। ন্যাপ সমর্থকদের প্রতিরোধে তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে মওলানা ঘরোয়া আলোচনায় একাধিকবার বলেছেন, "জামায়াত নেতা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী একজন আমেরিকার লোক। সে সিআইএর একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি । অন্য কোনো দেশে নয়, মওদুদী মারা যাবে আমেরিকায়।" ১৯৭২ সালে ন্যাপ নেতা সাইদুল হাসানের বাড়িতে আলোচনায় এক কর্মী জিজ্ঞেস করেন, "হুজুর, মওদুদীর আমেরিকায়

রোহিঙ্গা – কারা, কোথায়, কখন, কেমন?

রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রহীন মানুষ। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের বসবাস। রাখাইন  রাজ্যের আদি নাম আরাকান। যদিও রোহিঙ্গাদের পূর্বপুরুষরা শত শত বছর ধরে সেখানে আছে কিন্তু মায়ানমার / বার্মা সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে কখনো নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি; অদূর ভবিষ্যতে দেবেও না।রাষ্ট্রহীন মানুষ হিসেবে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্য সহ প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরে বাস করে। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে আরাকান অঞ্চল শাসন করতো চন্দ্র বংশ। আরব বণিকদের একটা জাহাজ রামব্রী দ্বীপের তীরে ভেঙে পড়ে। কিছু আরব তীরে এসে স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চায়। রাজা মহত ইং চন্দ্র তাদের সাহায্য করেন। কিছু আরব স্থানীয়  রমণীদের বিয়ে করে। এসব আরব বণিক বসতি স্থাপনের আর্জি করলে মহত ইং চন্দ্র তা মঞ্জুর করেন। চতুর্দশ শতকে আরাকানে মুসলিমরা স্থিতু গাড়ে। ততকালীন বৌদ্ধ রাজা Narameikhla ( যিনি তার রাজ্য পুনউদ্ধার করেছিলেন গৌড়ের সুলতান জালালুদ্দিন শাহের সহযোগিতায় ) তার রাজ দরবারে  মুসলিম উপদেষ্টা এবং সভাসদদের স্বাদরে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু পরে দক্ষিণের বৌদ্ধ বর্মীরা আরাকান দখল করে নেয়, Narameikhla পরাজিত হন। আরাকান দ