Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2015

সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ

সময় ১৩৮৯ সাল। বাংলার ক্ষমতায় তখন ইলিয়াস শাহী রাজবংশ। সুলতান সিকান্দার শাহ দ্বিধাধন্দে আছেন কাকে মনোনীত করবেন পরবর্তী সুলতান হিসাবে। গিয়াসউদ্দিন আজম সুলতান সিকান্দার শাহ এর প্রথম পুত্র কিন্তু গিয়াস উদ্দিন আজমের সৎ মা কৌশলে ক্ষমতা নিতে চাইছিলেন যার ফলে সৎ মা ও সৎ ভাইদের দ্বারা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন গিয়াসউদ্দিন আজম। লতান সিকান্দার শাহ আর গিয়াসউদ্দিন আজমের দূরত্ব বাড়তে থাকে যখন বাবা সুলতান সিকান্দার শাহকে এক সৎ ভাই জানান যে গিয়াসউদ্দিন আজম বিষ প্রয়োগে তাকে হত্যা করে সিংহাসন লাভের চেষ্টা করছেন। সংঘাত আসন্ন কিন্তু দুইপক্ষ শেষ চাল দেবার আগে কালক্ষেপণের সিধান্ত নেয়। এক সময় গিয়াসউদ্দিন আজম খবর পেলেন যে তাকে বন্দি করা হবে ও তার সৎ ভাইকে করা হবে পরবর্তী সুলতান। এক শুভাকাঙ্ক্ষীর পরামর্শে হরিণ শিকারে যাবার বাহানায় গিয়াস উদ্দিন আজম চলে আসেন সোনারগাঁয়ে। এখানে তিনি সৈন্য সংগ্রহ করেন। এরপর শুরু করেন বাবা সিকান্দার শাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। গোয়ালপাড়া যুদ্ধের এক পর্যায়ে তিনি বাবাকে হত্যা করেন এবং সিংহাসন দখল করেন। ধারন করেন শাহ উপাধি। সিংহাসনে বসেই গিয়াসউদ্দিন আজম তার ১৭ জন ভাইয়ের চোখ তুলে

সম্রাট আকবরের বশ্যতা অস্বীকার করা ঈসা খাঁ

পরাক্রমশালী সম্রাট আকবরের বশ্যতা অস্বীকার করে বীরদপে সোনারগাঁও থেকে জঙ্গলবাড়ী , সরাইল থেকে রংপুর এলাকায় বিরাজ করা বীরের নাম ঈসা খাঁ । তিনি মোগলদের আক্রমণকে বারবার প্রতিহত করেছেন এবং আকবরের কাছ থেকে সম্মান অর্জন করে নিয়েছেন নিজ স্বকীয়তায় । আকবরের শাসনামলে ভারতের প্রায় সকল এলাকা মোগল কর্তৃত্বে এলেও বাংলাকে পুরোপুরি কব্জা করা যায়নি তেজস্বী ঈসা খাঁর সাহসীকতায় । ঈসা খাঁর পিতা ছিলেন কালিদাস গজদানী । তিনি ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলাদেশে ব্যবসা বানিজ্য করতে আসেন । এক সময় তিনি মুসলমান হন এবং নাম পরিবর্তন করে সোলায়মান খাঁ রাখেন । মূলত ব্যবসা করে সোলায়মান খাঁ   প্রচুর টাকা পয়সা , বিত্ত বৈভব অর্জন করেন । পরে তিনি সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের মেয়েকে বিয়ে করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল পরগণা ও পূর্ব মোমেনশাহী অঞ্চলের জায়গীরদারী লাভ করেন । ঈসা খাঁ ছিলেন সোলায়মান খাঁর প্রথম পুত্র ।   ঈসা খাঁ বাবার জমিদারী পেয়ে তীক্ষ - বিচার বুদ্ধির মাধ্যমে বাংলার অন্যান্য শাসকদের নিজ আ