Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2015

বি পি এল বিনোদন

বি পি এল এর প্রথম আসরের গল্প। খেলা হচ্ছিল বরিশাল বার্নার্স বনাম দুরন্ত রাজশাহী।  বরিশাল  বার্নারস টানা দ্বিতীয় জয়ের পথে। শেহজাদ ভালো ব্যাট করছেন, গেইল ঝড় তুলছেন। এ অবস্থায়  ক্যামেরাতে ধরা পড়ল তিনজন ললনা  বরিশাল বার্নার্সের  পতাকা হাতে নিয়ে বেশ উদ্বেলিত। মাইক হাতে নিয়ে কমেন্টেটর  Atul Wassan এগিয়ে গেলেন তাদের দিকে।  শুরু হল প্রশ্ন উত্তর পর্বঃ Atul Wassan:  "Who is your favorite player in the burners team?" তিনজনের সমস্বরে চিৎকারঃ  Chris Gayle!  Chris Gayle!! Atul Wassan:    Chris Gayle! Why not any of your country players?  তিনজন একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল, শেষে মাঝের জন উত্তর দিলঃ players is players.  Atul Wassan: So your team is going to win two games in a row! You girls are having a pretty good weekend, don't you?  মেয়ে তিনটা এবার বেশ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। ডানদিক থেকে আসলো এপিক উত্তর : Shariar Nafees.

চিটাগাং!

Add caption … সমুদ্রের গর্জন , পাহাড়ের গাম্ভীর্য , নদীর প্রবাহমানতা আর   অরণ্যের মায়াবী নিঝুমতার কারনে ইংরেজরা চিটাগাং এর নাম দিয়েছিলো প্রাচ্যের রানী । বাংলাদেশের আর   কোন শহরের এতো নাম নেই যা চিটাগাং এর আছে ।   চট্টলা , চাটগাঁ ও চট্রগ্রাম ছাড়াও এই শহর পরিচিত চাটিগ্রাম , চর্তুগ্রাম , সোদকাওয়াঙ ,   চিতাগঞ্জ , রোসাং জেটিগাঁ ও দেবগাঁও নামে । শ্রী পূর্ণচন্দ্র দেব বর্মার মতে পর্তুগীজদের দেয়াং পাহাড়ের আড্ডায় জ্বালানো সারিবদ্ধ চাটিসমূহ গভীর সাগর থেকে দেখা যেত । সেই সারি সারি চাটি থেকে চাটি গ্রাম এবং ক্রমে চট্টগ্রাম নামে রুপান্তর হয়েছে । ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মুগল সম্রাট আওরঙ্গজেব আরাকানদের হটিয়ে এই অঞ্চল দখল করেন এবং এর নাম রাখেন “ ইসলামাবাদ ” । ব্রিটিশরা ১৭৬০ সালে সাম্প্রদায়িক মন মানসিকতায় ইসলামাবাদ নামকে বাতিল করে ইংরেজী নাম চিটাগাং প্রচলিত করে । পরিব্রাজক ইবনে বতুতা চিটাগাং আসেন   ১৩৪৬ সালে । তার লেখায় পাওয়া যায়   “ যে শহরে আমরা প্রবেশ করলাম তা হল সোদকাওয়াঙ । এটি

ঈশা খাঁর প্রতি দুর্বলতা

এগারসিন্দুর দুর্গ ঈশা খাঁর প্রতি আমার দুর্বলতা কৈশোর থেকে। পড়তাম শাহীন স্কুলে। হাউস ছিল ঈশা খাঁ। সে সময় আমার খেলাধুলা বা কালচারাল কোনো প্রতিভাই বিকশিত হয়নি। হাউজের কোনো কর্মসূচিতে আমার কখনো অংশগ্রহণ ছিল না। কিন্তু হাউজের প্রতীক ঈশা খাঁকে বীরের মতো বীর মনে হত। ক্লাস নাইনে রওণক করিম ম্যাডাম পড়াতেন ইতিহাস। একটা অধ্যয় ছিল বাংলার বারো ভূঁইয়াদের নিয়ে। তখন জানলাম এই প্রতাপশালী তেজস্বী ও সাহসী ঈশা খাঁর বীরত্বের গল্প। জানলাম কিভাবে তিনি মোঘল সেনাপ্রধান শাহবাজ খান ও মানসিংহকে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন। সেই সময় আহমেদ ফজল নামে এক ক্ষ্যাপাটে মিউজিশিয়ান ও তার ব্যান্ড নোভা ইতিহাস নিয়ে অনেক গান বেধেছিলো। তার একটা ছিল ঈশা খাঁর বীরত্বকে নিয়ে। নোভা ছাড়া বাংলাদেশী আর কোনো শিল্পী ইতিহাসের এতো ভেতরে কখনো যাননি। এই ফজলই সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে সর্বপ্রথম চিৎকার করে বলেছিলেন রাজাকারের তালিকা চাই। সাল ছিল ১৯৮৯। এর আগে এতো বলিষ্ঠভাবে রাজাকারদের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়নি। সে অন্য গল্প। তো সেই সময় রওণক করিম ম্যাডাম ইতিহাসের পোকা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন মাথায়। এখনো গোগ্রাসে গিলছি ইতিহাস।তখন থেকে মোঘল বশ্যতা অগ্রাহ্য করা ঈ