Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2015

পাইলটের আত্মহত্যা অস্বাভাবিকও নয়, বিরলও নয়

তদন্তকারীরা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে জার্মানউইংস এয়ারলাইনারের কো-পাইলট আনদ্রিয়াস লুবিত্জ ইচ্ছাকৃতভাবে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতে বিমানটি বিধ্বস্ত করেছে। স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে অটোপাইলট সুইচটি আনদ্রিয়াস লুবিত্জ সর্বনিম্ন পর্যায়ে ( মাত্র ১০০ ফুট ) নির্ধারন করে রেখেছিল যাতে কোন ক্রমেই বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়া থেকে বেচে না যায়। তার আগে সে তার ক্যাপ্টেন কে ককপিটে ঢুকতে দেয়নি। দরজা বন্ধ দেখে ক্যাপ্টেন বিমানের ইন্টারফোন দিয়ে আনদ্রিয়াস লুবিত্জকে দরজা খুলতে বলেন, সাড়া না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন।   ক্যাপ্টেন শেষ পর্যন্ত দরজা খোলার চেস্টা করতে থাকেন। কিন্তু পারেন না। একসময় বিমানটি সাতশো কিলোমিটার বেগে পর্বতের গায়ে আছড়ে পরে। সবশেষ হয়ে যায়। বিমানের ১৪৪ জন যাত্রীর মধ্যে ছিল ১৬ জন স্কুল ছাত্রছাত্রী যারা স্টাডি-ট্যুর থেকে ঘরে ফিরছিল। জার্মানউইংস এয়ারলাইনারের এই ২৮ বছর বয়সী জার্মান কো-পাইলট, আনদ্রিয়াস লুবিত্জ, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই কোম্পানিতে চাকরী করছিলো। সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করতো মন্টিবাওয়ার পশ্চিমাঞ্চলে। মন্টিবাওয়ার ডুসেলডর্ফেও তার একটি ফ্ল্যাট

‘২৬ জুলাই মুভমেন্ট’ এবং একজন দেশপ্রেমিকের গল্প

১৯৫৬ সালের কথা। একজন প্রবল দেশপ্রেমিক এবং জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসে বলীয়ান এক তরুন সেচ্ছা নির্বাসন থেকে তার নিজ দেশে ফিরে আসেন। স্বাধীন চেতা এই তরুন ‘ ২৬ জুলাই মুভমেন্ট ’ নামে একটি বিদ্রোহী দল তৈরী করেন এবং ধীরে ধীরে তিনি দুর্নীতি পরায়ন , নৈতিকভাবে দূর্বল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রভাবিত সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। তিনি মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন যে তিনি তার দেশের মানুষের জন্য সমতা ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। তার নাম ফিডেল ক্যাস্ট্রো। দুই বছরের মধ্যে তার দল সাধারন মানুষের সমর্থন লাভ   করে এবং ক্রমেই গেরিলা যুদ্ধে   শক্তিশালি হয়ে উঠে। এতটাই শক্তিশালি হয়ে উঠে যে এক র্পযায়ে কিউবার যুক্তরাষ্ট্র প্রভাবিত শাসককে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করে। ফিডেল ক্যাস্ট্রো হয়ে যান দেশটির কর্তা। এরপরের ৪৯ বছর তিনি তীব্র জাতীয়তাবাদী এবং মার্কসবাদী মনোভাব দ্বারা দেশটি শাসন করেন। গেরিলা যুদ্ধের সময় থেকে ফিডেল ক্যাস্ট্রো দাঁড়ি রাখতেন। এর বাস্তব কারনও ছিল। তিনি বলেছিলেন এক সাংবাদিককে , “ তুমি যদি দিনে ১৫ মিনিট করে হিসেব কর তবে শেভিং-এ বছরে ৫০০০ মিনিট ব্যয় হয়। আমি বরং আরও   গুরুত্বপুর্ন কাজে ঐ সময়

একজন পিতা

মাহবুব হামিদ থাকেন রাজশাহীতে। ছোট-খাটো ব্যবসা করেন। পাড়ার কিছু দুরন্ত ছেলেপেলেরা একদিন এসে বলল "আংকেল একশ টাকা দিতে হবে, ভ্যানভাড়া লাগবে।" তিনি জিজ্ঞেস করলেন "কিসের জন্য ভ্যানভাড়া?" ছেলেরা উত্তরে বলল "কাল আমাদের ফাইনাল খেলা আছে, আমরা খেলতে যাব। আমাদের দুটি ভ্যান লাগবে। একটার ভাড়া একশ টাকা পেয়েছি। আরেকটার ভাড়া আপনার কাছ থেকে নেব।" মাহবুব হামিদের ছেলে ক্লাস ফাইভে পড়ে; সেও ক্রিকেট পাগল। তাই তিনি জানেন এসব কিশোরদের খেলার স্পৃহা। তিনি টাকা দিয়ে বললেন "যাও, নিয়ে যাও।" টাকা নিয়ে ছেলেরা বলল "আংকেল, আপনি খেলা দেখতে আইসেন।" পরদিন ছিল শুক্রবার, বন্ধের দিন। মাহবুব হামিদ জুম্মার নামাজ পড়ে খেলা দেখতে গেলেন। কিন্তু গিয়ে দেখেন খেলা শেষ। জিজ্ঞেস করলেন "কি ব্যাপার?" উপস্থিত ছেলেরা জানালো ত্রিশ ওভারের খেলা ছিল কিন্তু প্রতিপক্ষ ত্রিশ ওভারে যে রান করেছে, সেই রান তাদের দল দশ ওভারেই করে ফেলেছে তাই আগে আগে খেলা শেষ। খেলা আর মাহবুব হামিদের দেখা হলো না। একটু পর খেলার পুরস্কার বিতরণী শুরু হলো। ওখানে এক ভদ্রলোক ছিলেন যিনি একসময় বগুড়া দলে খেলতেন।