Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2014

কচুক্ষেতের কচু

ছেলেটার নাম হযরত। বয়স সাড়ে পাঁচ। কচুক্ষেত এলাকায় তার বিচরণ। একটা ফুডকার্টে চাকরী করে। বেতন নয়শো টাকা।  হযরতের বয়স যখন তিন, তখন তার মা তাদের ছেড়ে চলে যায় অন্য এক লোককে বিয়ে করে। তার তিন মাস পরই তার বাবা অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে ঢাকার বাইরে চলে যায়। ভাই-বোন হীন, বাবা-মা হীন হযরত পরে থাকে কচুক্ষেত এলাকায়। যে যাই দিতো, তাই খেতো আর রাতে পার্কে ঘুমিয়ে যেতো। একসময় এই ফুডকার্টের মালিক হযরতের দেখভালের দায়িত্ব নেয়। বিনিময়ে হযরত তাকে সন্ধ্যার পর সাহায্য করে। ফুডকার্টের মালিক নয়শো টাকা হিশাবে হযরতের জন্য জমা রাখছে, সে বড় হলে দেবে।  মা বা বাবা,   কেউ এখন পর্যন্ত হযরতের কোন খোজ নেয়নি। তার নানা অবশ্য মাঝে মাঝে এসে খোজ নেয়।  হযরতের কাজ হলো যারা খেতে আসে তাদের কে খাবার পরিবেশন করা এবং বাসন ধোয়া। এই কাজে সে বেশ চটপট।

হেমনগর জমিদার বাড়ী

হেরেম্ব চন্দ্র চৌধুরী ছিলেন হেমনগরের জমিদার। কথিত আছে তিনি একজন ন্যায় বিচারক, শিক্ষানুরাগী ও সাংস্কৃতিমনা ছিলেন। এই জমিদার বাড়ীর অবস্থান টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগরে যেখানে অষ্টাদশ শতাব্দীর কারুকাজ করা  দ্বিতল ভবনটি আজও পুরনো ঐতিহ্য কিছুটা হলেও প্রকাশ করছে। বাড়ির সামনে রয়েছে বিরাট মাঠ। মাঠ পেরিয়ে গেলেই দেখা যায় দ্বিতল বাড়ির ছাদে দুটি পরীর ভাস্কর্য। ১০০ কক্ষবিশিষ্ট এ বাড়িটি প্রায় ৩০ একর জমির ওপর তৈরি। সামনে দরবার ঘর। দুই পাশে সারি-সারি ঘরগুলো নিয়ে গড়ে উঠেছে চতুর্ভুজাকার জমিদার প্রাসাদ। তিন ফুট প্রশস্ত দেয়ালে ঘেরা জমিদার বাড়ির মাঠের সামনে এবং বাড়ির পেছনে রয়েছে বড় দুটি পুকুর। এই উপনিবেশিক স্থাপনাটির সবচেয়ে আকর্যনীয় দিক হলো, এর চিনি টিকরী অলংকরণ। চিনি টিকরী হলো এক ধরণের ডেকোরেশন পদ্ধতি, অনেকটা মোজাইকের মতো। এই পদ্ধতিতে স্থাপত্যের গায়ে চিনামাটির বাসন কোসনের ছোট ভগ্নাংশ ও কাঁচের টুকরা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। সামনের দিকের পিলার থেকে শুরু করে, দেয়াল, দরজা জানালার প্যানেল, প্রতিটা জায়গার এই অলংকরণ ছিল। নকশা গুলো মুলত: ফ্লোরাল আর জ্যামি