Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2016

টুথপিক

গোপাল ভাড় বলেছিল এক রাজাকে "হুজুর আমি আপনাকে পায়খানার মত ভালবাসি।" আর অন্য দেশের এক রাজকন্যা বলেছিল প্রতাপশালী রাজাকে "বাবা আমি তোমাকে লবণের মত ভালবাসি।" দুজনরই শাস্তি হয়েছিল বনবাস। গোপাল ভাড়কে বনবাসে দিয়ে রাজা গেলেন নৌকা ভ্রমণে। এলো তার পায়খানা। নৌকা তীরে ভিড়তে দেরি আছে। রাজা চেপে বসে আছেন। না পেরে উজিরকে একসময় বললেন "ভিড়াও তীরে নৈাকা।" উজির বলল "হুজুর এখানে কুমিরের উপদ্রপ।" আরও কিছুদুর যাওয়ার পর তীরে ভিড়ল নৈাকা। ঘন বনের মধ্যে ছুটে গেলেন রাজা, করলেন পায়খানা। স্বস্তি আসল দেহ মনে। অনুভব করলেন গোপাল ভাড়ের স্তবকের অন্তর্নিহিত মজেযা। গোপাল ভাড়কে ফিরিয়ে আনলেন রাজধানীতে। আর বনবাসে থাকা সেই রাজকন্যাও তার বাবাকে সুযোগ পেয়ে লবণ ছাড়া তরকারি খাইয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল লবণের প্রয়োজনীয়তা। কোন অনুষ্ঠানে ভোজের পর দাঁতে যখন মাংশ আটকে যায় আর ক্লান্তিহীন ভাবে অস্বস্তি উৎপন্ন করতে থাকে তখন টুথপিক পাবার আকাঙ্খা এতই তিব্র হয় যে তা পায়খানা ও লবণের সমকক্ষতা অর্জন করে। "আপনি কেমন আছেন?" এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় আমার নাইনটি নাইন পারসেন্টই ওকে কিন্ত দাতেঁ লেগে থাক

অস্কার শিন্ডলার

১৯৩৯ সালে জার্মান আগ্রসনের সময় অস্কার শিন্ডলার পোল্যান্ডের ক্রাকোও শহরে আসেন। জাতিগত বিচারে তিনি ছিলেন এথনিক জার্মান। তখন পর্যন্ত শিন্ডলার একজন চতুর ও সুবিধাবাদী কিন্তু মধ্যম মানের ব্যবসায়ী। তিনি যুদ্ধকে তার সফলতার চাবি হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছিলেন। ব্যবসার মূলধন জোগাড় করার জন্য শিন্ডলার শহরের বিত্তশালী ইহুদি পরিবারগুলোকে লুকাতে বা পালাতে সাহায্য করতে শুরু করেন। ক্রাকোও শহরে তখন নাৎসিরা বেশ কয়টি  বন্দীশালা তৈরি করেছিলো যেখানে রাখা হতো ইহুদিদের। এসব বন্দীশালাকে বলা হতো ঘেট্রো। সেখানে কোনো খাবার ছিল না, পানি ছিল না, ছিল শুধু হিটলারের বাহিনীর নির্মম অত্যাচার।এখানে অল্পদিনেই বেশির ভাগ মানুষই মারা যেত। যারা বেচে থাকত তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে গুলি করে হত্যা করা হতো। নাৎসি বাহিনীর হাতে বৃদ্ধ, শিশু, নারী, কারোর নিস্তার ছিল না। তাই অস্কার শিন্ডলারকে বিশ্বাস করা ছাড়া ইহুদি পরিবারগুলোর আর কোন অল্টারনেট ছিল না। ইহুদি পরিবারগুলোকে লুকাতে সাহায্য করে করে এক সময় তার মূলধন জোগাড় হয়ে গেলো। তা দিয়ে শিন্ডলার ঘেট্রোর কাছে অবস্থিত দুটি কোম্পানি কিনে নেন পালিয়ে যাওয়া ইহুদিদের থেকেই। পাকা ব্যবসায়ীর মতন এ

ক্যাপ্টেন নিউজিল্যান্ড

ক্যাপ্টেন চার্লস উফাম একমাত্র ব্যক্তি যাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘দ্য ভিক্টোরিয়া ক্রস’ পুরস্কারে দুইবার ভূষিত করা হয়েছিল। এই পুরস্কার অসীম সাহসিকতার জন্য ব্রিটিশ ও কমনওয়েলথ সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেওয়া হতো। ১৯৪১ সালের ৩০ মে জার্মান আগ্রাসনের সময় সাহসিকতা প্রদর্শন করে তিনি তার প্রথম ভিক্টোরিয়া ক্রস অর্জন করেন। তার অবস্থান ছিল গ্রীসের ক্রিতে দ্বীপে। সুসজ্জিত জার্মান বাহিনী এগিয়ে আসছে। ক্যাপ্টেন চার্লস উফামের দল অস্ত্রশস্ত্র ও জনবলে দুর্বল। এই অবস্থায় সুসজ্জিত জার্মান শিবি রে তিনি তার প্লাটুন নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালান। এই আক্রমণের সময় তিনি একা দুটি মেশিনগান নেট ধ্বংস করেন এবং গ্রেনেড দিয়ে একটি এন্টি এয়ারক্রাফট গান ধ্বংস করেন। এরপর তার মেশিনগান দিয়ে জার্মানির ২২জন সৈন্যকে হত্যা করেন। ফেরত আসার সময় তার প্লাটুনেরএকজন আহত সৈনিককে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসেন । ক্যাপ্টেন চার্লস উফাম দ্বিতীয় ভিক্টোরিয়া ক্রসটি তিনি পান পরের বছর ২৫ জুলাই, প্রথম এল আলামেইন যুদ্ধের সময়। রুইসাত রেইজ প্রতিরক্ষার সময় তিনি গোলাগুলির মধ্যে সামনে এগিয়ে যান জার্মান সৈন্যভর্তি একটি ট্রাকে গ্রেনেড ছুড়ে মারার জ