গোপাল ভাড় বলেছিল এক রাজাকে "হুজুর আমি আপনাকে পায়খানার মত ভালবাসি।" আর অন্য দেশের এক রাজকন্যা বলেছিল প্রতাপশালী রাজাকে "বাবা আমি তোমাকে লবণের মত ভালবাসি।" দুজনরই শাস্তি হয়েছিল বনবাস। গোপাল ভাড়কে বনবাসে দিয়ে রাজা গেলেন নৌকা ভ্রমণে। এলো তার পায়খানা। নৌকা তীরে ভিড়তে দেরি আছে। রাজা চেপে বসে আছেন। না পেরে উজিরকে একসময় বললেন "ভিড়াও তীরে নৈাকা।" উজির বলল "হুজুর এখানে কুমিরের উপদ্রপ।" আরও কিছুদুর যাওয়ার পর তীরে ভিড়ল নৈাকা। ঘন বনের মধ্যে ছুটে গেলেন রাজা, করলেন পায়খানা। স্বস্তি আসল দেহ মনে। অনুভব করলেন গোপাল ভাড়ের স্তবকের অন্তর্নিহিত মজেযা। গোপাল ভাড়কে ফিরিয়ে আনলেন রাজধানীতে। আর বনবাসে থাকা সেই রাজকন্যাও তার বাবাকে সুযোগ পেয়ে লবণ ছাড়া তরকারি খাইয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল লবণের প্রয়োজনীয়তা।
কোন অনুষ্ঠানে ভোজের পর দাঁতে যখন মাংশ আটকে যায় আর ক্লান্তিহীন ভাবে অস্বস্তি উৎপন্ন করতে থাকে তখন টুথপিক পাবার আকাঙ্খা এতই তিব্র হয় যে তা পায়খানা ও লবণের সমকক্ষতা অর্জন করে। "আপনি কেমন আছেন?" এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় আমার নাইনটি নাইন পারসেন্টই ওকে কিন্ত দাতেঁ লেগে থাকা মাংশটা ওই নাইনটি নাইন পারসেন্টকে আওলায় ফেলেছে।" স্যুট পড়া, ইস্তরী করা সার্ট পরা ডিনার পার্টিতে এ বলা যায়না। হাসি মুখে টমেটোর জুস খেতে খেতে বলি "আছি ভাল, আপনি কেমন?" খুজে নিয়ে বেয়ারাকে বলি "একটা টুথপিক এনে দেন প্লিজ।" সে হাওয়া হয়ে যায়, আর আসে না। আমি প্রতিক্ষায় বসে থাকি । এদিকে জমে ওঠে আলাপ - কি খেলছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আজকাল! কাপিয়ে দিয়েছে বিশ্ব। আমি এ আলাপে আনন্দ পাইনা; টুথপিকের সন্ধানে থাকি। বউকে খুজে বের করে আস্তে করে বলি 'টুথপিক দাও যোগার করে'। সে বলে "দিচ্ছি।" তারপর আবার গল্পে জড়িয়ে পড়ে - ভাবী, কলকাতা থেকে এবার কি শপিং করলেন? আমার ইচ্ছে হয় প্রশ্ন করি "টুথপিক কিনেছেন এবার?" ফিরে আসি মুল টেবিলে। আলাপ চলছে রাজনীতির - বিএনপির বেহাল দশা। আমি ভাবি ঠিক আমার দাতেঁর মতন। আমি নিশ্চুপ। জ্বিহ্বা দিয়ে মাংশ বের করার চেষ্টা করি। মাংশ তার নিজের যায়গাতেই থাকে, জিহ্বা কেটে যায়। আলাপ পরিবর্তন হয়।একজন বলেন দেশে গাড়ি ইমপোর্ট কমে যাবে কারন বেশ কিছু গাড়ি উৎপাদন কারখানা চট্রগ্রামে গড়ে উঠছে। সবাই মতামত দেন। আমি দেইনা; আমার জিহ্বা কেটে গেছে। কিন্তু আমার বক্তব্য তার কাছে কাঙ্খিত। উনি বললেন "সুবাহান চুপ কেন আজ ?" উনি প্রশ্ন করেন দেশে গাড়ি উৎপাদনের ব্যাপারটা আমি কিভাবে দেখছি। আমি এক কথায় উত্তর দেই "টুথপিক পায়খানা ও লবণের সমকক্ষতা অর্জন করেছে"।
কোন অনুষ্ঠানে ভোজের পর দাঁতে যখন মাংশ আটকে যায় আর ক্লান্তিহীন ভাবে অস্বস্তি উৎপন্ন করতে থাকে তখন টুথপিক পাবার আকাঙ্খা এতই তিব্র হয় যে তা পায়খানা ও লবণের সমকক্ষতা অর্জন করে। "আপনি কেমন আছেন?" এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় আমার নাইনটি নাইন পারসেন্টই ওকে কিন্ত দাতেঁ লেগে থাকা মাংশটা ওই নাইনটি নাইন পারসেন্টকে আওলায় ফেলেছে।" স্যুট পড়া, ইস্তরী করা সার্ট পরা ডিনার পার্টিতে এ বলা যায়না। হাসি মুখে টমেটোর জুস খেতে খেতে বলি "আছি ভাল, আপনি কেমন?" খুজে নিয়ে বেয়ারাকে বলি "একটা টুথপিক এনে দেন প্লিজ।" সে হাওয়া হয়ে যায়, আর আসে না। আমি প্রতিক্ষায় বসে থাকি । এদিকে জমে ওঠে আলাপ - কি খেলছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আজকাল! কাপিয়ে দিয়েছে বিশ্ব। আমি এ আলাপে আনন্দ পাইনা; টুথপিকের সন্ধানে থাকি। বউকে খুজে বের করে আস্তে করে বলি 'টুথপিক দাও যোগার করে'। সে বলে "দিচ্ছি।" তারপর আবার গল্পে জড়িয়ে পড়ে - ভাবী, কলকাতা থেকে এবার কি শপিং করলেন? আমার ইচ্ছে হয় প্রশ্ন করি "টুথপিক কিনেছেন এবার?" ফিরে আসি মুল টেবিলে। আলাপ চলছে রাজনীতির - বিএনপির বেহাল দশা। আমি ভাবি ঠিক আমার দাতেঁর মতন। আমি নিশ্চুপ। জ্বিহ্বা দিয়ে মাংশ বের করার চেষ্টা করি। মাংশ তার নিজের যায়গাতেই থাকে, জিহ্বা কেটে যায়। আলাপ পরিবর্তন হয়।একজন বলেন দেশে গাড়ি ইমপোর্ট কমে যাবে কারন বেশ কিছু গাড়ি উৎপাদন কারখানা চট্রগ্রামে গড়ে উঠছে। সবাই মতামত দেন। আমি দেইনা; আমার জিহ্বা কেটে গেছে। কিন্তু আমার বক্তব্য তার কাছে কাঙ্খিত। উনি বললেন "সুবাহান চুপ কেন আজ ?" উনি প্রশ্ন করেন দেশে গাড়ি উৎপাদনের ব্যাপারটা আমি কিভাবে দেখছি। আমি এক কথায় উত্তর দেই "টুথপিক পায়খানা ও লবণের সমকক্ষতা অর্জন করেছে"।
Comments