Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2015

কলকাতা ডায়রী

টয়োটা নেই। ঢাকার রাস্তায় লক্ষ লক্ষ টয়োটা দেখে দেখে হঠাৎ কলকাতায় এসে কোন টয়োটা না দেখে চোখ দুটো ধাক্কা খেলো। কলকাতায় টয়োটা হাতে গুনা যায়। ইন্ডিয়া মেইড গাড়ী ছাড়া জাপানীস হোন্ডা আছে অনেক। আর আছে আমেরিকান অনেক শেভ্রোলেট; এই দেশে মনে হয় শেভ্রোলেটের ফ্যাক্টরি আছে। ভাষা একটা সমস্যা। মনে করেছিলাম বাংলায় চলবে সব। আদতে তা না। হিন্দিই চলে বেশী, সাথে বাংলা ও ইংরেজী। দোকানে, ট্যাক্সিতে, হোটেলে, রেস্টুরেন্টে হিন্দি চলছে। বাংলায় বললে বেশ একটা সময় নিয়ে বুঝিয়ে বলতে হয়। দুর্দান্ত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। শহরের এক কোন থেকে অন্য কোনে চলে যাওয়া যায় বাসে চড়ে। এয়ার কনডিসন বাস আছে, নন-এয়ার কনডিসন বাস আছে। একটু পর পর আসছে, যাচ্ছে। দ্রুত চলাচলের জন্য আছে মেট্রো। ধীর চলাচলের জন্য আছে ট্রাম। আর আছে লক্ষ লক্ষ ট্যাক্সি। হাত বাড়ালেই থামছে। ট্যাক্সি ড্রাইভারদের মধ্যে ভালো মন্দ দুইটাই আছে। আমার অভিজ্ঞতা ফিফটি ফিফটি। আবার খুব ভালোও পেয়েছি দুইবার যারা কিনা এক জায়গায় নামিয়ে দেবার পর আমার জন্য অপেক্ষা করেছে কিন্তু ভাড়া বেশী নেয়নি এবং কিভাবে আরও সাশ্রয় হবে তা বলে দিয়েছে। ট্যাক্সি ড্রাইভার একটাও বাঙ্গালী পাইনি। রিকসাওয়া

কলকাতা!

অসংখ্য প্রাসাদ, অট্টালিকা, মিনার, মন্দির ও পুরনো স্থাপনার শহর কলকাতা। ইংরেজ শাসনামলের চিহ্ন এশিয়ার যে কয়টি হাতেগুনা শহরে টিকে আছে, কলকাতা তার মধ্যে শীর্ষে। ব্রিটিশ শাসকদের কাছে কলকাতা ছিল উপমহাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং লন্ডনের পর পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর।  তখন শহরের দক্ষিণের অংশে ব্রিটিশরা বাস করতো যাকে বলা হতো হোয়াইট টাউন এবং উত্তর অংশে ভারতীয়েরা বাস করতো যাকে বলা হতো ব্ল্যাক টাউন। বাণিজ্যিক গুরুত্বের কারনে ১৯১১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা কলকাতাকে ভারতের রাজধানী করে রেখেছিল। পরে আবার ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বামপন্থী গণআন্দোলনগুলিতে কলকাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।  রাজনৈতিক অস্থিরতা,  জঙ্গি ট্রেড-ইউনিয়ন আন্দোলন, উৎপাদনহীনতা ও অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের ফলে ১৯৫৪ সালের পর থেকে গৌরব হারাতে থাকে কলকাতা। তবে ২০০২ সাল থেকে কলকাতা আবার সাংস্কৃতিক হৃতগৌরব এবং বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি ফিরে পেতে থাকে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে। কলকাতা নামের ইতিহাস বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। 'কলিকাতা' নামটি এসেছে ফার্সিতে গৃহীত দুটি আরবি শব্দের সংযোগে - 'কলি' যার মানে অস্থির,

Refugee crisis due to civil war in Syria

The civil war in Syria has been going on for four years and the situation is becoming worse day by day. The war killed over 220,000 people so far, half of whom are civilians. To escape the war and in quest for a better life, Syrian people are fleeing to neighboring Turkey, Lebanon, Jordan and Iraq. Many of them nonetheless finally ended up in more distant countries of North Africa, the Caucasus, the Persian Gulf and Europe. But Turkey is not a country for Syrian people to stay in for an extended term. It is not a place to settle for Syrians because they do not have the right to work there. The situation in Lebanon, Jordan and Iraq are similar. So thousands of refugees those have better access of information and cash are attempting the dangerous trip across the Mediterranean Sea from Turkey to Greece in a bid to secure a safe future. Not all of them make it across alive. And those who do make it to Greece still face steep challenges. The influx of refugees has blown out of propor

খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের পতন

১২১৫ সালে পারস্যের খাওয়ারিজম সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ছিল। সম্রাট ছিলেন ইসলাম ধর্মে বলিয়ান আলা আদ-দীন মুহাম্মদ। আজকের ইরাক, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তার সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজধানী ছিল সমরকন্দ। তখন ছিল ইসলামের তথাকথিত রেনেসাঁ যুগ। খাওয়ারিজম সৈন্যবাহিনীতে প্রায় পাঁচ লাখ সুসজ্জিত অশ্বারোহী সৈন্য ছিল যার প্রতিটি সৈন্য এবং ঘোড়া উচ্চ মানের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকতো। খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের একটা বড় আয় আসতো সিল্ক রোড থেকে সংগৃহীত ট্যাক্সের মাধ্যমে। চীন ও ইউরোপের একমাত্র গমনপথ ছিল খাওয়ারিজম তাই প্রতিটি বণিক তাদের রাস্তা ব্যবহার করার জন্য ও যাত্রা পথে নিরাপত্তা দেবার  জন্য খাওয়ারিজম সম্রাটকে দক্ষিণা প্রদান করতো। সেই সময় মঙ্গোলিয়া শাসন করতেন চেঙ্গিস খান। চেঙ্গিস খান আলা আদ-দীন মুহাম্মদকে খুশী রাখার জন্য প্রায়ই মূল্যবান উপহার পাঠাতেন। হঠাৎ করে একদিন আলা আদ-দীন মুহাম্মদ একদল মঙ্গোলিয়ান বণিকদের আটক করেন এই সন্দেহে যে তারা গুপ্তচর এবং বহিরাগত পণ্য  ট্যাক্স না দিয়ে ইউরোপে নিয়ে যাচ্ছে। সভাপরিষদ আলা আদ-দীন মুহাম্মদের কাছে এর যথার্থতা জানতে চাইলে ধার্মিক সম্রাট বলেন সৃষ