Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2018

খন্দকার মোশতাক আহমেদের পাকিস্তান কনফেডারেশন

খন্দকার মোশতাক - মাহাবুবুল আলম চাষী -  তাহের উদ্দিন ঠাকুর ত্রয়ী ১৫ আগস্ট সকালে বাংলাদেশ রেডিও স্টুডিওতে এক সঙ্গে প্রবেশ করেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এক বেলাও পার হয়নি, মৃতদেহগুলো তখনো ৩২ নম্বরের বাড়ীতে পরে আছে। মোশতাক - চাষী- ঠাকুর ত্রয়ী রেডিও স্টুডিওতে, তিন বাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে, মুজিব সরকারের পতন এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহনের সংবাদ ঘোষণা দেন। শুরুহয় পাকিস্তান কনফেডারেশনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। মোশতাক - চাষী- ঠাকুরদের স্টুডিওতে উপস্থিতি ও  প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহন একদম ছকে বাঁধা। এই হবার কথা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশর প্রবাসী সরকার দুটি লবিতে বিভক্ত ছিল - সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের ছত্রছায়ায় একটি লবির নেতেৃত্বে ছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদিআরবের ছত্রছায়ায় অন্য লবির নেতেৃত্বে ছিলেন ধার্মিক মুসলমান খন্দকার মোশতাক আহমেদ। মে মাসে খন্দকার মোশতাক ও তার পররাষ্ট্র সচিব চাষী মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা শুরু করেন এবং ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদ’ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে  দুই পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ রাখার একটি ফর্মুলা বের করেন। ফর্মুলাটি ছিল পাকিস্তানি

জীবনানন্দ দাশের ফেলে যাওয়া শহর

বরিশাল শহরের খানাখন্দভরা বগুড়া রোড এগিয়ে গেলে একটা হাসপাতাল, হাসপতালের পাশে একটা রিক্সার গ্যারেজ, তার পাশে গাছ-গাছালি ঘেরা একটি বাড়ির দরোজা। ফলকে কালো হরফে লেখা 'ধানসিড়ি'।  মৃত্যুর পর সমাদর পাওয়া জীবনানন্দ দাশ এখানে থাকতেন! লিখতেন ভোরের নির্মল আকাশ, শিশির ভেজা ঘাস, ধানের ক্ষেতের উদ্দাম আর নাটোরের বনলতা সেনকে নিয়ে।  জীবনানন্দ দাশ হাঁটতেন এ শহরে; কলাবতী ফুল, কলমিলতা আর পুকুরে ফোটা শাপলার মাঝে দেখতেন রূপসী বাংলা, প্রথম প্রেমিকা মুনিয়ার সাথে দেখা করতে যেতেন অক্সফোর্ড মিশনের গির্জায়, ব্রজমোহন কলেজের লাল দালানের সিঁড়িতে বসে লিখতেন কবিতা। শুকতারা, জোনাকি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে লেখার খাতায় তুলেছিলেন - মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর; দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন নিভে যায়’।  কৈশোরের সৃতি নিয়ে লিখেছিলেন - কোথায় গিয়েছে আজ সেইসব পাখি, আর সেইসব ঘোড়া; সেই শাদা দালানের নারী ? ১৯৪৬ সালের ৮ জুলাই ব্রজমোহন কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে কলকাতা যান জীবনানন্দ। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, সামপ্রদায়িক দাঙ্গা ও অন্যান্য প্রতিকূলতার কারণে আর বরিশালে ফেরা হয়নি তার। কীর্তনখোলা ন