বরিশাল শহরের খানাখন্দভরা বগুড়া রোড এগিয়ে গেলে একটা হাসপাতাল, হাসপতালের পাশে একটা রিক্সার গ্যারেজ, তার পাশে গাছ-গাছালি ঘেরা একটি বাড়ির দরোজা। ফলকে কালো হরফে লেখা 'ধানসিড়ি'। মৃত্যুর পর সমাদর পাওয়া জীবনানন্দ দাশ এখানে থাকতেন! লিখতেন ভোরের নির্মল আকাশ, শিশির ভেজা ঘাস, ধানের ক্ষেতের উদ্দাম আর নাটোরের বনলতা সেনকে নিয়ে।
জীবনানন্দ দাশ হাঁটতেন এ শহরে; কলাবতী ফুল, কলমিলতা আর পুকুরে ফোটা শাপলার মাঝে দেখতেন রূপসী বাংলা, প্রথম প্রেমিকা মুনিয়ার সাথে দেখা করতে যেতেন অক্সফোর্ড মিশনের গির্জায়, ব্রজমোহন কলেজের লাল দালানের সিঁড়িতে বসে লিখতেন কবিতা। শুকতারা, জোনাকি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে লেখার খাতায় তুলেছিলেন - মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর; দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন নিভে যায়’। কৈশোরের সৃতি নিয়ে লিখেছিলেন - কোথায় গিয়েছে আজ সেইসব পাখি, আর সেইসব ঘোড়া; সেই শাদা দালানের নারী ?
১৯৪৬ সালের ৮ জুলাই ব্রজমোহন কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে কলকাতা যান জীবনানন্দ। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, সামপ্রদায়িক দাঙ্গা ও অন্যান্য প্রতিকূলতার কারণে আর বরিশালে ফেরা হয়নি তার।
কীর্তনখোলা নদীর তীরের এই শহরের আদি নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ। রাজা দনুজমর্দন দিয়েছিলেন এ নাম। ড. কানুনগো নামে এক লোক এ অঞ্চলে এক সময় বাকলা নামে এক বন্দর নির্মাণ করেন। এ বন্দরে আরব ও পারস্য থেকে বণিকরা বাণিজ্য করতে আসতো। এ অঞ্চল ১৮০০ সাল পর্যন্ত হিন্দু অধ্যুষিত ছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসলমানদের আগমন, কিছু হিন্দুদের ধর্মান্তরিত হওয়া ও কিছু হিন্দুদের ব্যাপকহারে দেশ ত্যাগের ফলে এখন এখানে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য। হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত খৃস্টান সম্প্রদায়েরও প্রায় ৫ হাজার জনগোষ্ঠী এ খানে বসবাস করে।
কিন্তু সব ছাপিয়ে এটা জীবনানন্দ দাশের ফেলে যাওয়া শহর।
জীবনানন্দ দাশ হাঁটতেন এ শহরে; কলাবতী ফুল, কলমিলতা আর পুকুরে ফোটা শাপলার মাঝে দেখতেন রূপসী বাংলা, প্রথম প্রেমিকা মুনিয়ার সাথে দেখা করতে যেতেন অক্সফোর্ড মিশনের গির্জায়, ব্রজমোহন কলেজের লাল দালানের সিঁড়িতে বসে লিখতেন কবিতা। শুকতারা, জোনাকি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে লেখার খাতায় তুলেছিলেন - মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর; দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন নিভে যায়’। কৈশোরের সৃতি নিয়ে লিখেছিলেন - কোথায় গিয়েছে আজ সেইসব পাখি, আর সেইসব ঘোড়া; সেই শাদা দালানের নারী ?
১৯৪৬ সালের ৮ জুলাই ব্রজমোহন কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে কলকাতা যান জীবনানন্দ। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, সামপ্রদায়িক দাঙ্গা ও অন্যান্য প্রতিকূলতার কারণে আর বরিশালে ফেরা হয়নি তার।
কীর্তনখোলা নদীর তীরের এই শহরের আদি নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ। রাজা দনুজমর্দন দিয়েছিলেন এ নাম। ড. কানুনগো নামে এক লোক এ অঞ্চলে এক সময় বাকলা নামে এক বন্দর নির্মাণ করেন। এ বন্দরে আরব ও পারস্য থেকে বণিকরা বাণিজ্য করতে আসতো। এ অঞ্চল ১৮০০ সাল পর্যন্ত হিন্দু অধ্যুষিত ছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসলমানদের আগমন, কিছু হিন্দুদের ধর্মান্তরিত হওয়া ও কিছু হিন্দুদের ব্যাপকহারে দেশ ত্যাগের ফলে এখন এখানে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য। হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত খৃস্টান সম্প্রদায়েরও প্রায় ৫ হাজার জনগোষ্ঠী এ খানে বসবাস করে।
কিন্তু সব ছাপিয়ে এটা জীবনানন্দ দাশের ফেলে যাওয়া শহর।
Comments