সিদ্দিক বন্ধুর বাসায় মদ খায় ও ভিসিআরে কামুক রেখার নাচ দেখে, সে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বান্ধবীর শরীর ছুঁতে পারবে বলে বেবিটেক্সিতে ওঠে, সে ধানমন্ডির অভিজাত লনপার্টিতে দাঁড়িয়ে চোখ বড়বড় করে স্লিভলেস ব্লাউজ পরা মহিলা দেখে চোখ জুড়ায়, সে অফিসের বড় সাহেবের স্ত্রীর ইঙ্গিতে পা বাড়ায় নিষিদ্ধ সম্পর্কে। সিদ্দিক রাজনীতিতে জড়িত হতে চায় না কিন্তু তার বান্ধবীকে ইমপ্রেস করার জন্য রাজনৈতিক সভায় যায়। রাজনীতির ভেতরের অন্তঃসারশূন্যতা তাকে ব্যথিত করে না কারণ প্রেসিডেন্ট এরশাদের পতন হলেও তার কিছু যায় আসে না, পতন না হলেও না। গল্পের নায়কের চরিত্র, আচরণ যেমন 'নায়ক' সুলভ হওয়া প্রয়োজন সিদ্দিকেরটা তেমন নয়। বরং এক সময় মনে হতে থাকে সে চারিত্রিকভাবে কিঞ্চিত লম্পট। গল্পের নাম অনেক বড় এবং নামের একাংশে সিদ্দিকের উপস্থিতি প্রবল। গল্পের নামের অন্যঅংশে সিদ্দিক ঢুকতে চায় না, শেষ পর্যন্ত ঢুকেও না কিন্তু স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়েই সিদ্দিকের দুঃসময়ের সমাপ্তি হয়। আমি মানতে নারাজ সিদ্দিক লম্পট। সে চাকরিতে ফাঁকি দেয় না, মনে প্রানে মালিকের উন্নতি কামনা করে এবং বাড়তি ইনকামের জন্য প্রাইভেট পড়া...
This blog contains thoughts of a pro-Bangladeshi national on contemporary issues.