গ্রেট ব্রিটেন সবার সাথে একা খেলতে চায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দলের হয়ে না।
তাই ব্রেক্সিট হয়ে গেছে। ৪৭ বছরের সম্পর্ক শেষ। ব্রিটেন এখন বিশ্ব সংসারের,শুধু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের না।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়েছে কিন্তু ইউরোপ থেকে তো বের হতে পারবে না। থাকবে, ফিরবে কিন্তু দলের হয়ে খেলবে না, একা খেলবে। তারা ফর্মুলা বের করেছে যে একা খেললেই অর্থনীতিক সমৃদ্ধি বেশী হবে, পলিটিকাল মাইলেজ বেশী পাবে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক বিপদ সংকেত বটে। দল ছিল ২৮ জনের। মূল খেলোয়ারদের একজন বের হয়ে গেল। ইউনিয়ন করার মূল উদ্দেশ্য ছিল একতা, একত্রে অগ্রগতি, একত্রে সমস্যা মুকাবেলা। এই একতায় ভাঙ্গন হলো। সামনে যে আর কোন স্টার প্লেয়ার এক্সিট নিয়া মাতং করবে না এর গ্যারান্টি কই!
বর্তমান ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসনের ইলেকশন ম্যানডেটই ছিলো ব্রেক্সিট কায়েম করা আর চাকরীর ক্ষেত্র বাড়ানো। এইটা ইংগিত দেয় যে ওয়ার্কিং ক্লাস ডেস্পারেট হয়ে গিয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরে যেতে। বরিস জনসন চালু মানুষ। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হবার পরে তিনি ক্যাবিনেট মিটিং ডেকেছিলেন সানদারল্যান্ডে যেটা প্রো-ব্রেক্সিট টাউন হিসাবে পরিচিত।
বরিস জনসন ইউ এস যেতে চান বলেছেন অলরেডি। আমরিকার সাথে চুক্তি করবেন। আমরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে দুইহাত প্রসারিত করে গ্রহণ করবেন ধারনা করা হচ্ছে কারন ট্রাম্প নিজে ব্রেক্সিটের পক্ষের লোক। মজার ব্যাপার হলো ১৯৬৩ সালে ব্রিটেন যখন প্রথমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ( তখন নাম ছিল ইউরোপিয়ান ইকনোমিক কমিউনিটি ) ঢুকতে চেয়েছিল তখন ফ্রান্স বিরোধিতা করেছিল এই বলে যে আমেরিকার সাথে ব্রিটেন মাখামাখি বেশী করে এবং এর অর্থনৈতিক ভাব ইউরোপের বাকী দেশগুলোর মেলে না। ব্রিটেন ১০ বছরের উপর ঝুলে ছিল। পরে ১৯৭৩ সালে ফ্রান্স রাজী হয়। এখন বের হয়ে আবার আমেরিকার সাথে মাখামাখি শুরু করেছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হওয়া মানে ব্রিটেন যে এন্টি-ইউ তা না, এইটার মানে এই যে তারা সেলফ সাফিশিয়ান্ট হতে আগ্রহী। তবে খেলা আরও বাকী। আগামী কয়েক মাসে ব্রিটেনের পলিটিশিয়ানরা ঠিক করবেন হার্ড ব্রেক্সিট এল্পাই করবেন নাকি সফট ব্রেক্সিট। হার্ড ব্রেক্সিট মানে হলো ইউরোপের অন্য দেশগুলার উপরে উচ্চ হারে ট্যাক্স বসানো এবং মাইগ্রেসন থামিয়ে দেয়া।
ব্রেক্সিটের ইমপ্যাক্ট ভাল হবে না খারাপ হবে এক লাইনে বলা মুশকিল। একেকজনের কাছে এক একরকম হবে ইমপ্যাক্ট। আপেল ব্যবসায়ী, রুটির কারিগর, ট্যাক্সি চালকের জন্য ভাল হবে কারন কম্পিটিশন কমে যাবে। কিন্তু গাড়ীর কারখানা, বিমান কম্পানির জন্য খারাপ কারন ইউরোপের অন্যদেশগুলা ইমপোর্ট ট্যাক্স বসিয়ে দেবে। হোটেল ব্যবসায়ীর খরচ বাড়বে আবার ব্যবসাও কমবে। যারা সরকার চালায় তাদের জন্য ভাল এই ব্রেক্সিট কারন এখন আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পলিসি ফলো করা লাগবো না। সিদ্ধান্ত নিতে এখন স্বাধীনতা বেশী পাবে তারা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এখন মায়া-মমতা নিয়ে কথা বলছে কিন্তু ব্রেক্সিট ইমপ্লিমেন্ট হয়ে গেলে ব্রিটেনকে টাইট দিবে অনুধাবন করা যায় কারন ব্রিটেনতো এক অর্থে বেঈমানি করেছে। অলরেডি আমেরিকার সাথে মাখামাখি শুরু করেছে।
হতে পারে ইউ এস আর ইউ কে দুই ভাই মিলে সৌদির সাথে গিটঠু বেধে মিডলইস্ট এর সকল বানিজ্য হাতের মুঠায় নিবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সেইটা ভাল লাগার কথা না। চায়না একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে মনে হয়। আমেরিকা এখন এন্টি চায়না। ব্রিটেন আমেরিকার মতন সেলফ সাফিশিয়ান্ট হতে চায়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে চায়না ইস্যুতেও ব্যবধান বাড়বে।
ঠিকই আছে। এখন ব্যবধান বাড়ার যুগ।
সামওয়্যারইন এর ব্লগেও প্রকাশিত - ওয়াসীম সোবহান চৌধুরী
তাই ব্রেক্সিট হয়ে গেছে। ৪৭ বছরের সম্পর্ক শেষ। ব্রিটেন এখন বিশ্ব সংসারের,শুধু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের না।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়েছে কিন্তু ইউরোপ থেকে তো বের হতে পারবে না। থাকবে, ফিরবে কিন্তু দলের হয়ে খেলবে না, একা খেলবে। তারা ফর্মুলা বের করেছে যে একা খেললেই অর্থনীতিক সমৃদ্ধি বেশী হবে, পলিটিকাল মাইলেজ বেশী পাবে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক বিপদ সংকেত বটে। দল ছিল ২৮ জনের। মূল খেলোয়ারদের একজন বের হয়ে গেল। ইউনিয়ন করার মূল উদ্দেশ্য ছিল একতা, একত্রে অগ্রগতি, একত্রে সমস্যা মুকাবেলা। এই একতায় ভাঙ্গন হলো। সামনে যে আর কোন স্টার প্লেয়ার এক্সিট নিয়া মাতং করবে না এর গ্যারান্টি কই!
বর্তমান ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসনের ইলেকশন ম্যানডেটই ছিলো ব্রেক্সিট কায়েম করা আর চাকরীর ক্ষেত্র বাড়ানো। এইটা ইংগিত দেয় যে ওয়ার্কিং ক্লাস ডেস্পারেট হয়ে গিয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরে যেতে। বরিস জনসন চালু মানুষ। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হবার পরে তিনি ক্যাবিনেট মিটিং ডেকেছিলেন সানদারল্যান্ডে যেটা প্রো-ব্রেক্সিট টাউন হিসাবে পরিচিত।
বরিস জনসন ইউ এস যেতে চান বলেছেন অলরেডি। আমরিকার সাথে চুক্তি করবেন। আমরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে দুইহাত প্রসারিত করে গ্রহণ করবেন ধারনা করা হচ্ছে কারন ট্রাম্প নিজে ব্রেক্সিটের পক্ষের লোক। মজার ব্যাপার হলো ১৯৬৩ সালে ব্রিটেন যখন প্রথমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ( তখন নাম ছিল ইউরোপিয়ান ইকনোমিক কমিউনিটি ) ঢুকতে চেয়েছিল তখন ফ্রান্স বিরোধিতা করেছিল এই বলে যে আমেরিকার সাথে ব্রিটেন মাখামাখি বেশী করে এবং এর অর্থনৈতিক ভাব ইউরোপের বাকী দেশগুলোর মেলে না। ব্রিটেন ১০ বছরের উপর ঝুলে ছিল। পরে ১৯৭৩ সালে ফ্রান্স রাজী হয়। এখন বের হয়ে আবার আমেরিকার সাথে মাখামাখি শুরু করেছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হওয়া মানে ব্রিটেন যে এন্টি-ইউ তা না, এইটার মানে এই যে তারা সেলফ সাফিশিয়ান্ট হতে আগ্রহী। তবে খেলা আরও বাকী। আগামী কয়েক মাসে ব্রিটেনের পলিটিশিয়ানরা ঠিক করবেন হার্ড ব্রেক্সিট এল্পাই করবেন নাকি সফট ব্রেক্সিট। হার্ড ব্রেক্সিট মানে হলো ইউরোপের অন্য দেশগুলার উপরে উচ্চ হারে ট্যাক্স বসানো এবং মাইগ্রেসন থামিয়ে দেয়া।
ব্রেক্সিটের ইমপ্যাক্ট ভাল হবে না খারাপ হবে এক লাইনে বলা মুশকিল। একেকজনের কাছে এক একরকম হবে ইমপ্যাক্ট। আপেল ব্যবসায়ী, রুটির কারিগর, ট্যাক্সি চালকের জন্য ভাল হবে কারন কম্পিটিশন কমে যাবে। কিন্তু গাড়ীর কারখানা, বিমান কম্পানির জন্য খারাপ কারন ইউরোপের অন্যদেশগুলা ইমপোর্ট ট্যাক্স বসিয়ে দেবে। হোটেল ব্যবসায়ীর খরচ বাড়বে আবার ব্যবসাও কমবে। যারা সরকার চালায় তাদের জন্য ভাল এই ব্রেক্সিট কারন এখন আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পলিসি ফলো করা লাগবো না। সিদ্ধান্ত নিতে এখন স্বাধীনতা বেশী পাবে তারা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এখন মায়া-মমতা নিয়ে কথা বলছে কিন্তু ব্রেক্সিট ইমপ্লিমেন্ট হয়ে গেলে ব্রিটেনকে টাইট দিবে অনুধাবন করা যায় কারন ব্রিটেনতো এক অর্থে বেঈমানি করেছে। অলরেডি আমেরিকার সাথে মাখামাখি শুরু করেছে।
হতে পারে ইউ এস আর ইউ কে দুই ভাই মিলে সৌদির সাথে গিটঠু বেধে মিডলইস্ট এর সকল বানিজ্য হাতের মুঠায় নিবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সেইটা ভাল লাগার কথা না। চায়না একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে মনে হয়। আমেরিকা এখন এন্টি চায়না। ব্রিটেন আমেরিকার মতন সেলফ সাফিশিয়ান্ট হতে চায়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে চায়না ইস্যুতেও ব্যবধান বাড়বে।
ঠিকই আছে। এখন ব্যবধান বাড়ার যুগ।
সামওয়্যারইন এর ব্লগেও প্রকাশিত - ওয়াসীম সোবহান চৌধুরী
Comments