গ্রেট ব্রিটেন সবার সাথে একা খেলতে চায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দলের হয়ে না। তাই ব্রেক্সিট হয়ে গেছে। ৪৭ বছরের সম্পর্ক শেষ। ব্রিটেন এখন বিশ্ব সংসারের,শুধু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়েছে কিন্তু ইউরোপ থেকে তো বের হতে পারবে না। থাকবে, ফিরবে কিন্তু দলের হয়ে খেলবে না, একা খেলবে। তারা ফর্মুলা বের করেছে যে একা খেললেই অর্থনীতিক সমৃদ্ধি বেশী হবে, পলিটিকাল মাইলেজ বেশী পাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক বিপদ সংকেত বটে। দল ছিল ২৮ জনের। মূল খেলোয়ারদের একজন বের হয়ে গেল। ইউনিয়ন করার মূল উদ্দেশ্য ছিল একতা, একত্রে অগ্রগতি, একত্রে সমস্যা মুকাবেলা। এই একতায় ভাঙ্গন হলো। সামনে যে আর কোন স্টার প্লেয়ার এক্সিট নিয়া মাতং করবে না এর গ্যারান্টি কই! বর্তমান ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসনের ইলেকশন ম্যানডেটই ছিলো ব্রেক্সিট কায়েম করা আর চাকরীর ক্ষেত্র বাড়ানো। এইটা ইংগিত দেয় যে ওয়ার্কিং ক্লাস ডেস্পারেট হয়ে গিয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরে যেতে। বরিস জনসন চালু মানুষ। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হবার পরে তিনি ক্যাবিনেট মিটিং ডেকেছিলেন সানদারল্যান্ডে যেটা প্রো-ব্রেক্সিট টাউন হিসাবে পরিচিত।
This blog contains thoughts of a pro-Bangladeshi national on contemporary issues.