দিল্লীর প্রবীণরা উর্দু ও হিন্দীর মিশ্রণে বলেন যে ভারতীয় উপমহাদেশে যে কজন সাধক এসে সুফি মতবাদকে জনপ্রিয় করেছেন নিজামউদ্দিন আউলিয়া তাদে মধ্যে পথিকৃৎ। চিশতিয়া তরিকার সুফি সাধক ছিলেন তিনি। তারা বলেন যে তৎকালীন দিল্লীবাসীর উপর ব্যক্তিত্বের জাদু নিয়ে নিজামউদ্দিন আউলিয়া প্রবল প্রভাব বিস্তার করেন এবং পার্থিব বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনেন। নিজামউদ্দিন আউলিয়া নাকি বলতেন খোদার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ আর তাই মানুষকে ভালোবাসলেই খোদা সবচেয়ে বেশি খুশি হন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বুঝা গেল, ছোট বেলায় মা খালাদের মুখে ইসলামের গুণগান সম্বলিত গল্পসমূহে যে নিজাম ডাকাতের উপস্থিতি ছিল যেখানে তিনি ৯৯জন লোক খুন করার পর আওলিয়া হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন সেটা আদতে অন্যান্য ধর্মীয় কল্পকাহিনীর মতনই বানানো; রূপকথা। নিজামউদ্দিন আউলিয়া উঠতি বয়সেই সুফি মতবাদ লাভ করেছিলেন এবং তা চর্চা করে আধ্যাত্মিকতা লাভ করেছিলেন। তিনি আদতে কোন খুন করেননি। নিজামউদ্দিন আউলিয়ার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ। বংশগত দিক থেকে তিনি ছিলেন হযরত আলী (রা.) এর উত্তরসূরি। তার মৃত্যুর পর ফিরোজ শাহ তুঘলক কবরে সমাধি-সৌধ নির্মাণ করলেও প...
This blog contains thoughts of a pro-Bangladeshi national on contemporary issues.