Skip to main content

১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের ব্যার্থ সিপাহী বিপ্লব ও অতঃপর

১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের ব্যার্থ সিপাহী বিপ্লব
১৯৭৫ এর ৭ই নভেম্বর উত্থান হয়েছিল জিয়াউর রহমানের। সেদিনের পর থেকে তিনি বনে গিয়েছিলেন সারা দেশের হর্তাকর্তা। কিন্তু দিনকাল খুব একটা নির্বিঘ্ন কাটেনি তার; প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে, মোকাবেলা করতে হয়েছে সামরিক বাহিনীর ভেতরে এবং বাইরে অসন্তোষ, মোকাবেলা করতে হয়েছে জাসদের আক্রোশ, মোকাবেলা করতে হয়েছে বেয়াড়া আমলাদের। ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার মানুষ, ট্রেনিং পেয়েছিলেন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীতে, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ এ যুদ্ধ করেছেন সামনা সামনি, আবার পাকিস্তানের গোয়েন্দা দপ্তরেও বহু বছর কাজ করেছেন।  এসবের অভিজ্ঞতা দিয়ে বেশ সফল ভাবেই তিনি অসন্তোষ,আক্রোশ, বেয়াড়াপনা সামাল দিচ্ছিলেন। ১৯৭৭ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাষ্ট্রিয় তিনটি প্রধান পদ জিয়াউর রহমান নিজের করে নিয়েছিলেন - সেনাবাহিনী প্রধান, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ( চীফ মার্শাল'ল অ্যাডমিনিস্ট্রাটর )। তিনিই সর্বেসর্বা। এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট হয়েই তার প্রথম কাজ গুলোর একটি ছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকারী অফিসারদের কাউকে কাউকে সেনাবাহিনীর চাকরীতে বহাল করা এবং কাউকে কাউকে বিভিন্ন দেশের দুতাবাসে চাকরী দেওয়া। 

তাই  ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে যখন মিশরের গোয়েন্দা সংস্থা তাকে জানালো বিমানবাহিনীর এক অংশ বিদ্রোহ করবে  তখন তিনি বিমানবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করলেন এবং তার বিশ্বস্ত বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক ইউনিটকে দিয়ে নিজের নিরাপত্তা বাড়িয়ে নিলেন। ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের কমাডান্ট তখন তার একান্ত বিশ্বস্ত কর্নেল আমিনুল হক, নবম ডিভিশনের জিওসি আরেক বিশ্বস্ত মেজর জেনারেল মীর শওকত আলী।  জিয়াউর রহমান জানেন এই দুইজনের লাশের উপর দিয়ে আসতে হবে তার গায়ে টোকা দেবার জন্য।

কিন্তু বিমানবাহিনী প্রধানকে বিদ্রোহের আগাম সঙ্কেত জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না জিয়াউর রহমান। ফলে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর রাতে আর্মি সিগন্যাল ব্যাটালিয়ানের সৈন্যরা যখন আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এবং বিমানসেনারা যখন সার্জেন্ট অফিসার আফসারের নেতৃত্বে জাসদ ও বামপন্থিদের প্ররোচনায় 'দ্বিতীয় বিপ্লব' শুরু করলো তখন জিয়াউর রহমান প্রস্তুত ও নিরাপদ থাকলেন কিন্তু বিমানবাহিনীর অফিসাররা বিপ্লবের বলি হলেন। বেশ কিছু অফিসার সেই রাতে তেজগাঁও বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে ছিলেন, বিপ্লবের প্রথম থাবায় গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাশ মাসুদ ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন আনসার আহমেদকে বিপ্লবীরা গুলি করে হত্যা করে। সেখানে তখন কিছু জাপানী কূটনৈতিক ছিলেন, তারা বেঁচে যান।

৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের কমাডান্ট কর্নেল আমিনুল হক ও নবম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মীর শওকত আলী জিয়াউর রহমানের একান্ত কাছের লোক ছিলেন কিন্তু এদের দুইজনের আবার সদ্ভাব ছিল না। বিপ্লব শুরু হলে জিয়াউর রহমান আমিনুল হককে দায়িত্ব দেন তার বাসার আশেপাশে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে এবং মীর শওকতকে দায়িত্ব দেন যত দ্রুত সম্ভব বিপ্লব দমন করতে। মীর শওকত অতি দ্রুত শেরে বাংলা নগরে আবস্থিত হেডকোয়ার্টারে চলে যান।

তেজগাঁও বিমানবন্দর ও বেইস তখন সম্পূর্ণ বিপ্লবীদের দখলে। তারা বিভিন্ন ঘর খুঁজে খুঁজে অফিসারদের ধরে আনছে।

মীর শওকত খবর পান বিপ্লবীদের একটি দল অনেক গুলো ট্রাকে করে ফার্মগেইটের দিকে গিয়েছে। তিনি লেঃ কর্নেল ইমতিয়াজকে নির্দেশ দেন বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট ও রোডব্লক বসানোর জন্য এবং রেডিও স্টেশনে স্পেশাল ব্যাটালিয়ান পাঠাতে ।

ভোর চারটার দিকে ফোন এলো মীর শওকতের অফিসে। অপরপ্রান্তে সেনাবাহিনী প্রধান কাম রাষ্ট্রপতি কাম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমান। মীর শওকত সংক্ষেপে  'স্যার' বলে কাজ সারেন। জিয়াউর রহমান প্রশ্ন করেন - Who is in control of the radio station, Mir? মীর শওকত বলেন  - of course it is in our control sir. জিয়া বিমর্ষ হয়ে মীর শওকতকে  উপদেশ দেন - listen to the radio. মীর শওকত জিএসও-১ খায়রুল আনামকে নির্দেশ দেন রেডিও আনতে। আনাম রেডিও এনে ছাড়লে তারা শুনেন বিপ্লবীরা ভাসন দিচ্ছে। মীর শওকত আকাশ থেকে পড়েন এবং বিব্রত হন। তিনি জিয়াউর রহমানকে প্রতিশ্রুতি দেন ১৫ মিনিটের মধ্যে তার নিজের লাশের বদলে হলেও রেডিও ষ্টেশন দখল হবে।  তিনি  লেঃ কর্নেল ইমতিয়াজকে বলেন ক্যাপ্টেন আবেদিনকে রেডিও ষ্টেশন পাঠাতে এবং যে কোন মুল্যে দখল নিতে। সাথে সাথে আদেশ দেন- শুট টু কিল।

ক্যাপ্টেন আবেদিনের মাত্র ১২ মিনিট লাগলো বিপ্লবীদের হটিয়ে দিতে; গুলি করে মারলেন কিছু, ধরলেন কিছু, বাকিরা পালিয়ে গেল। মীর শওকত জিয়াউর রহমানকে  ফোন করে জানালেন - radio station is in our control sir.

এদিকে ভোরের আলো ফোটার কিছু পরে বিপ্লবীরা ছয়-সাত জন আফিসারদের ধরে আনে কন্ট্রোল টাওয়ারের উত্তরে অবস্থিত হ্যাঙ্গারের কাছে। এক লাইনে দাড় করিয়ে তাদের ব্রাশ ফায়ার করে বিপ্লবীরা । লুটিয়ে পড়েন স্বাধীনতা পরবর্তী কালের সেরা পাইলটেরা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর উড্ডয়ন ক্ষমতা নিমিষে অর্ধেকে নেমে আসে। বিমানবাহিনী প্রধান এ জি মাহমুদও তখন তেজগাঁও বিমানবন্দরে। তিনি কর্পোরাল রুহুল আমিন ও  কর্পোরাল আরজুর সহায়তায় একটা রুমের স্টিল আলমারির পেছনে লুকান। কিন্তু রক্ষা হয় না, বিপ্লবীরা রুমের দরজা ভেঙে ঢুকে স্টিল আলমারির পেছন থেকে বের করে আনে তাকে। নিয়ে যায় নীচে, উদ্দেশ্য পরিষ্কার।

কিন্তু ভাগ্য ভাল এ জি মাহমুদের। কর্পোরাল রুহুল আমিন বিপ্লবী নেতা ও দেশের তথাকথিত প্রেসিডেন্ট ( রেডিও স্টেশনের ভাসনে এমনটাই দাবী করা হয়েছিল ) সার্জেন্ট অফিসার আফসারকে মিনতি করেন এ জি মাহমুদকে বাচিয়ে রাখতে। আফসার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয় বিমানবাহিনী প্রধানকে গুলি না করার। সে নির্দেশ দেয় এ জি মাহমুদকে কন্ট্রোল টাওয়ারের দুতালার এক রুমে তালা বন্ধ করে রাখতে। তবে সেখান থেকে চলে যাবার আগে সার্জেন্ট অফিসার আফসার বলেছিল - আপনিই হয়তো একদিন আমাকে হ্যাং করবেন। তার ভবিষ্যৎবানী ফলেছিল। ১৯৭৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ট্রায়াবুনালের রায় বাস্তবায়িত হয় - সার্জেন্ট অফিসার আফসারকে কুমিল্লা কারাগারে ফাঁসি দেয়া হয়।

ভোরের আলো ফুটলে লেঃ কর্নেল ইমতিয়াজের অধিনস্ত স্পেশাল ব্যাটালিয়ানের এক প্ল্যাটুন সৈন্য গেল কন্ট্রোল টাওয়ারে আটকা পরা অফিসার ও জাপানী কুটনৈতিকদের বাঁচাতে আর অন্য এক দল গেল ক্যান্টনমেন্টের দিক দিয়ে রানওয়ে ও হাঙ্গারগুলোর দখল নিতে। নেতৃত্বে মেজর মুস্তফা, ক্যাপ্টেন সাদেক ও ক্যাপ্টেন হোসেন। বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত  এসব অফিসার ও সৈন্যদের কাছে তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবস্থানরত ২০০ বিপ্লবী পাত্তা পেল না; বেশীর ভাগ গুলি খেয়ে মরলো। ধরা পরলো ৬০ জন। সাঙ্গ হলো দ্বিতীয় সিপাহী বিপ্লব, মুখ থুবড়ে পড়লো জাসদের শ্রেণীসংগ্রামের নামটা জপে আর সৈনিকদের তাঁতিয়ে ক্ষমতায় যাবার আর একটি প্রয়াস। কিন্তু এর মূল্য দিতে হয়েছিল কয়েক হাজার নির্দোষ বিমানসেনাদের। কারো কারো মৃত্যু হয়েছিল ফায়ারিং স্কোয়াডে, কারো কারো মৃত্যু  হয়েছিল ফাঁসীর কাষ্ঠে আর বাকীদের পচতে হয়েছিল কারাগারের ভেতর।

১৯৭৫ সালের ১১ নভেম্বর বেতার ভাষণে জিয়াউর রহমান দাবী করেছিলেন, "আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি একজন সৈনিক। রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই এবং আমাদের সরকার সম্পূর্ণ নির্দলীয় ও অরাজনৈতিক।" ১৯৭৬ সালের মে মাসে  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভায় জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, "আমি একজন শ্রমিক।" এই সৈনিক ও শ্রমিক ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের পর থেকে হয়ে উঠলেন সৈনিক ও শ্রমিক হত্যাকারক। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে সই দিতে লাগলেন বিমানসেনাদের ফাঁসির ও কারাবাসের। সাথে সাথে পূর্ণবাসিত করতে লাগলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ডালিম, ফারুক, রশিদদের। আর সাথে সাথে চললো রাজনৈতিক দল গড়ার প্রয়াস। এ কাজে সাথী তার মেজর জেনারেল নুরুল ইসলাম শিশু, কর্নেল অলি আহমেদ ও মেজর কামরুল ভুঁইয়া। সেনাবাহিনীর চার ডাকসাইটে 'এলিট' অফিসার 'গণতান্ত্রিক' একটি দল গড়তে ঘাম ঝরাতে লাগলেন। জাগদল হয়ে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট হয়ে যা শেষে বিএনপিতে এসে ঠেকলো।

২ অক্টোবরের বিপ্লবের সাথে জড়িতদের তো  তেজগাঁও বিমানবন্দরেই গুলি করে মারা হয়েছিল, ধরা হয়েছিল সার্জেন্ট অফিসার আফসার সহ অন্যদের। কিন্তু সাথে সাথে আটক করা হলো কুর্মিটোলা বেইসে থাকা প্রায় সব বিমানসেনাদের।  কুর্মিটোলা বেইসের বিমানসেনাদের উপর জিয়াউর রহমানের রাগ ছিল আগে থেকে। ১৯৭৭ এর মে মাসের যে হ্যাঁ / না ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানে কুর্মিটোলা বেইসের বেশিরভাগ মানুষ না ভোট দিয়েছিল এরকম একটা রিপোর্ট পৌঁছেছিল জিয়াউর রহমানের কাছে। তাই এবার সুযোগ পেয়ে তিনি হয়ে উঠেন প্রতিশোধ পরায়ণ। এক একটা ঘরে উলঙ্গ করে রাখা হলো ৫০-৬০ জনকে। চালনো হলো অত্যাচার। সামরিক ট্রায়াবুনাল আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে রায় দিতে লাগলো।  অক্টোবর ও নভেম্বরের প্রায় প্রতি রাতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ড্রেনগুলো রক্তে ভরপুর হতো কারন গলায় রশি বেধে ফেলে দেবার পর, প্রান যাবার আগেই কেটে ফেলা হতো হাত-পায়ের রগ।  সুত্রাপুরের ওসির দায়িত্ব ছিল কাফনের ব্যবস্থা করা আর লালবাগের ওসির দায়িত্ব ছিল লাশ আজিমপুরের গোরস্থানে নাম ফলকহীন দাফন করা। প্রহসনের শেষ সীমা অতিক্রম করে মৃতব্যক্তিদের কারো কারো গ্রামের বাড়ীতে পাঠানো হতো চিঠি যেখানে বলা হতো অতিসত্বর চাকুরিতে যোগদান করার জন্য। এটা পাঠানো হতো যাতে পরিবারের মানুষ ধরে নেয় এরা পলাতক আছে।  যাদেরকে সেই সময় টর্চার করা হয়েছে তাদের চেহারা চেনা যেত না। কর্পোরাল আজম নামে একজন যে ইংলিশে অনার্স করছিল সেই সময়, মার্শাল ল কোর্টে ইংরেজিতে জবাব দেবার কারনে ট্রাইবুনালের অফিসার তাকে মেরে ফেলে রেখেছিল,  তার শরীর পচে গিয়েছিল বিনা চিকিৎসায় এবং একসময় সে সেলের ভেতরেই মারা যায়। কর্পোরাল লতিফ নামের একজনকে উলঙ্গ করে লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে এক সময় লাঠি তার পেছন দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, লতিফ মারা যায় তখনই।

টেনেহেঁচড়ে যখন বিমানসেনাদের ফাঁসীর কাষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হতো, তাদের কেউ কেউ চিৎকার করে বলতো, হে আল্লাহ্‌ যেই জালেম বিনা বিচারে আমাকে ফাঁসি দিচ্ছে, তুমি তার বিচার করো। এই ঘটনার সাড়ে তিন বছর পর একদল মুক্তিযোদ্ধা অফিসার চিটাগং সার্কিট হাউজে গিয়ে জিয়াউর রহমানের শরীরের উপিরিভাগে বিশ-বাইশটি গুলি করে তার দেহ ভুপাতিত করে। তারও মুখমন্ডল চেনার উপায় থাকে না। এরপর  জিয়াউর রহমানের যাওয়া হয় দুটি কবরে - রাঙ্গুনিয়ায় একবার, ঢাকায় আরেকবার।

তথ্য সূত্রঃ
সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা, বাংলাদেশ (১৯৭৫-১৯৮১)
আনোয়ার কবির

রহস্যময় অভ্যুত্থান ও গণফাঁসি
জায়েদুল আহসান

বিএনপি সময়-অসময়
মহিউদ্দিন আহমদ

জাসদের উত্থান পতন : অস্থির সময়ের রাজনীতি
মহিউদ্দিন আহমদ

Comments

Popular posts from this blog

Dhaka in the 1950s and 1960s

In the mid 1950s, Dhaka, known as ‘Dacca’ at that time, was just a small provincial town with about 3,00,000 inhabitants. Dhanmondi at that time just started to grow; Maulvi Abdus Sobhan's family had some habitation in Sobhanbagh, Dhaka Stadium was being constructed to host cricket matches and New Market was starting to become a busy shopping area. Dhaka residents loved cinema since the time it was introduced. Baliadi Siddiki family owned Nishat Cinema Hall and held a mega event when the film ‘Aan’ by Mehboob Khan was released in 1952. Elephants were used by the hall owner to distribute leaflets and to spray colour water. There was another prominent hall named Britannia near Rex Restaurant at Gulistan but was closed down in the late 1950s. Gulistan Cinema Hall, city’s first modernity landmark, came up in 1952. Amber, started with Raj Kapoor and Nargis, was the first film the hall showed. Mukul which later became 'Azad 'used to show Bengali films from Kolkat

সুন্দর পশু-পাখি, সুন্দর গাছ আর সুন্দর সুন্দর জঙ্গল নিয়ে সুন্দরবন

...প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এদেশের মানুষের পক্ষ হয়ে বর্ম হিসেবে দাড়িয়ে যাওয়া সুন্দরবনের সাথে বেশীর ভাগ মানুষের প্রথম পরিচয় হয় বাংলা ১ম পত্রের গদ্য বইয়ে অথবা বাংলা ২য় পত্রের রচনায়। সুন্দরবন - এর আক্ষরিক অর্থ 'সুন্দর জঙ্গল' অথবা 'সুন্দর বনভূমি' কিন্তু নামকরণ হয়েছিল 'সুন্দরী গাছ' থেকে যা এখানে প্রচুর পরিমানে জন্মে। তবে যেহেতু স্থানীয় আদিবাসীরা অনেক আগে থেকে বনটিকে ‘চন্দ্র-বান্ধে’ নামে ডাকতো তাই হতে পারে ‘চন্দ্র-বান্ধে’ নামটি কালের পরিক্রমায় ‘সুন্দরবন’ হয়ে গেছে। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে অবস্থিত এই বনের বাঘ ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ নামে পরিচিত যদিও সংখ্যায় এখন এ প্রাণী ক্রমনিম্নগামী। সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত হবার কারনে এখানকার পানি নোনতা এবং এই লবণাক্ততার কারণে বাঘ অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকে যা তাদের বেশ আগ্রাসী করে তোলে তাই  মাছ ও মধু সংগ্রহকারী মানুষদের উপর সুযোগ পেলে তারা ঝাপিয়ে পরে। ১৭৫৭ সালে পুরো বাংলার ইজারা নেয় বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যার মধ্যে সুন্দরবনও ছিল। এই বনের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটা মানচিত্র তৈরি করে সেইসময়

Revolt at BDR Headquarters

Soldiers of the BDR Headquarters in Dhaka staged a revolt against their top officers including the DG. Rumors are all around. Some say, the DG is dead. Others include - soldiers want pay raise; they want full scale war against Indian BSF etc. But here is the rumor that beats all by a long margin - JMB naki actually BDR HQ attack korse. Next target High Court. Ora naki BDR DG ke convince korse to join them!