১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর লে. জেনারেল নিয়াজি বুঝে গিয়েছিলেন পরাজয় কাছে চলে এসেছে। ক্র্যাক প্লাটুন মুহমুহ আত্রমন চালাচ্ছে, এই গতকালই তোপখানা রোডে মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে তারা প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। মিত্রবাহিনী ঢাকার অদূরে আস্তানা গেড়েছে, ঢুকে যাবে যে কোন মুহূর্তে। আগের সপ্তাহে মুজিবনগর সরকারের অনুরোধে ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মানে সোভিয়েত সহ অন্যান্য দেশও স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করবে। অবস্থা বাস্তবিক নাজুক। তিনি এই নাজুক পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে পাকিস্তানে বার্তা পাঠান। কিন্তু সেখান থেকে তার জন্য আসে সুসংবাদ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সিজিএস লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুল হাসান নিয়াজীকে আশ্বস্ত করেন, ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিক থেকে বন্ধুরা এসে পড়বে। এই বন্ধুরা হলো মার্কিন সপ্তম নৌবহর ও চীনা সেনাবাহিনী। নিয়াজী এ খবর শুনে শরীর ও মনে কিছুটা বল ফিরে পান। তিনি তার অধীনদের জানান, পাকিস্তান যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
একই সঙ্গে পাকিস্তানের শেষ ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার প্রয়াশে ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি জর্জ বুশ ( সিনিয়ার বুশ ) যুদ্ধ বিরতির ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেন। নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা শুরু হয়। জুলফিকার আলী ভুট্টো নিরাপত্তা পরিষদে চিৎকার করে বলেন 'বাংলাদেশ ভারত সরকারের মুখে অবস্থান করে, বাংলাদেশ তাদের মনে বাস করে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব নেই। মনে রাখবেন আমরা যুদ্ধ করে যাব এবং এক হাজার বছর ধরে যুদ্ধ করবো।' যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভোটে দেয়া হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রয়োগ করে ফলে এই প্রস্তাব অনুমোদন হয় না। যদি নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ বিরতির ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব অনুমোদন করতো তাহলে ভারতকে তার সৈন্য সরিয়ে নিতে হতো, মুক্তিযুদ্ধ প্রলম্বিত হতো।
এদিন সকাল থেকেই তেজগাঁও এয়ারপোর্টে জাতিসংঘের তিনটি বিমান তাদের কর্মচারীদের তুলে নেয়ার জন্য ল্যান্ড করার চেষ্টা করে। এ জন্য বিমানবন্দরে বিমান হামলা বন্ধ রাখে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও মিত্রবাহিনী। কিন্তু রানওয়ে অকেজো থাকায় ল্যান্ডিং বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৩টার কিছু পরে জাতিসংঘের একটি বিমান কোন রকমে ল্যান্ডিং করে এবং জাতিসংঘের কর্মচারীদের নিয়ে উড়ে যায়।এরপর পরই ভারতীয় যুদ্ধবিমান এসে কয়েকটি বোমা ফেলে রানওয়ে সম্পূর্ণ অকেজো করে দেয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এন্টিএয়ারক্র্যাফট গানগুলি তখন পুরোপুরি বিধ্বস্ত তাই তা দিয়ে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি তারা।
ঢাকায় বেলা ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্যআইন জারি করা হয়। প্রাদেশিক সরকারের বেসামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী আল বদর ও আল শামসের কেন্দ্রীয় নেতাদের ডেকে পাঠান সদর দফতরে। নেতারা এলে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ফরমান আলী পাকিস্তানকে বাচাতে বদ্ধ পরিকর আল বদর ও আল শামসের নেতাদের হাতে তুলে দেন বুদ্ধিজীবীসহ বিশেষ বিশেষ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নামের তালিকা। বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা হিসাবে সেই রাতেই আলবদর বাহিনী সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমদ, আ.ন.ম. গোলাম মোস্তফাকে তাঁদের বাসভবন থেকে অপহরণ করে। তাঁরা আর কখনও ফিরে আসেননি।
মার্কিন সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছে। এই নৌবহরে এক লাখ টন ওজনের বিশ্বের সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ রয়েছে, দুটি ডেস্ট্রয়ার রয়েছে। রয়েছে বোমারু বিমান। এটি চিটাগং এসে পৌঁছালে নিশ্চিত ভাবেই মুক্তিযুদ্ধ নতুন দিকে মোড় নেবে। এই নৌবহর পাঠানোর উদ্দেশ্য কী, পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে কথা উঠলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেয়ার্ড জানান, এটি আমেরিকার নিয়মিত কন্টিনজেন্সি প্ল্যানিং’-এর অংশ এবং পূর্ব পাকিস্তানে আটকে পড়া আমেরিকানদের উদ্ধারের জন্যই একে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বড়জোর ২০০ মার্কিন নাগরিককে উদ্ধারে এই বিশাল নৌবহরের কী প্রয়োজন, লেয়ার্ড তা পরিস্কার করেন না।
কিন্তু যা পাকিস্তান ও আমেরিকার হিসাবে ছিল না তা হলো ভারত মহাসাগর এলাকায় আগে থেকেই টহলরত তিনটি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন যা সোভিয়েত ইউনিয়নের ১০ অপারেটিভ ব্যাটল গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। ভারত মহাসাগর থেকে চীন সাগর পর্যন্ত মোট ৫০০ মাইল সমুদ্র এলাকায় এইগুলো নিয়মিত টহল দিত। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সোভিয়েত নৌবহরটি তাদের দায়িত্ব শেষে পূর্বনির্ধারিত বিশ্রামের উদ্দেশ্যে ঘাঁটি ভ্লাদিভোস্তোকে ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু মার্কিন পরিকল্পনা আঁচ করতে পেরে সোভিয়েত নৌ কমান্ড তাদের সমুদ্র এলাকায় টহল অব্যাহত রাখতে বলেন। তাদের স্থানে নতুন যে নৌবহরটি ইতিমধ্যেই দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রওনা হয়েছিল যাতে ছিল কয়েকটি পারমাণবিক শক্তিচালিত যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী আণবিক ডুবোজাহজ, তাদের যাত্রাও অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেকোনো বিপদের মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করতে ভ্লাদিভোস্তোক থেকে আরও অতিরিক্ত নৌযান প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়, যার ফলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভারত মহাসাগর এলাকায় মোট সোভিয়েত নৌযানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মোড় নিতে পারত বৃহৎ এক যুদ্ধে কিন্তু মার্কিন সপ্তম নৌবহর ব্যর্থ হয় ১৫ তারিখের আগে বঙ্গোপসাগরে ঢুকতে। সৌভাগ্যবশত এই দুই আণবিক অস্ত্রবাহী নৌবহর একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার আগেই ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ঢুকে যায় মিত্রবাহিনী। এর ফলে লে. জেনারেল নিয়াজি বাধ্য হন আত্মসমর্পণ করতে।
এই দুই আণবিক অস্ত্রবাহী নৌবহর মুখোমুখি হলে এক দিকে ভারতের বন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং অন্যদিকে পাকিস্তানের বন্ধু আমেরিকা কি স্বিধান্ত নিত এবং তার পরিত্রমায় মুক্তিযুদ্ধ কোন দিকে মোড় নিত তা অনুমান করা দুষ্কর। তবে এটা বোঝা দুষ্কর নয় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছেনে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদান অনস্বীকার্য।
একই সঙ্গে পাকিস্তানের শেষ ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার প্রয়াশে ১২ ডিসেম্বর জাতিসংঘে আমেরিকার স্থায়ী প্রতিনিধি জর্জ বুশ ( সিনিয়ার বুশ ) যুদ্ধ বিরতির ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেন। নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা শুরু হয়। জুলফিকার আলী ভুট্টো নিরাপত্তা পরিষদে চিৎকার করে বলেন 'বাংলাদেশ ভারত সরকারের মুখে অবস্থান করে, বাংলাদেশ তাদের মনে বাস করে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব নেই। মনে রাখবেন আমরা যুদ্ধ করে যাব এবং এক হাজার বছর ধরে যুদ্ধ করবো।' যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভোটে দেয়া হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রয়োগ করে ফলে এই প্রস্তাব অনুমোদন হয় না। যদি নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধ বিরতির ও সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব অনুমোদন করতো তাহলে ভারতকে তার সৈন্য সরিয়ে নিতে হতো, মুক্তিযুদ্ধ প্রলম্বিত হতো।
এদিন সকাল থেকেই তেজগাঁও এয়ারপোর্টে জাতিসংঘের তিনটি বিমান তাদের কর্মচারীদের তুলে নেয়ার জন্য ল্যান্ড করার চেষ্টা করে। এ জন্য বিমানবন্দরে বিমান হামলা বন্ধ রাখে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও মিত্রবাহিনী। কিন্তু রানওয়ে অকেজো থাকায় ল্যান্ডিং বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৩টার কিছু পরে জাতিসংঘের একটি বিমান কোন রকমে ল্যান্ডিং করে এবং জাতিসংঘের কর্মচারীদের নিয়ে উড়ে যায়।এরপর পরই ভারতীয় যুদ্ধবিমান এসে কয়েকটি বোমা ফেলে রানওয়ে সম্পূর্ণ অকেজো করে দেয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এন্টিএয়ারক্র্যাফট গানগুলি তখন পুরোপুরি বিধ্বস্ত তাই তা দিয়ে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি তারা।
ঢাকায় বেলা ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্যআইন জারি করা হয়। প্রাদেশিক সরকারের বেসামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী আল বদর ও আল শামসের কেন্দ্রীয় নেতাদের ডেকে পাঠান সদর দফতরে। নেতারা এলে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ফরমান আলী পাকিস্তানকে বাচাতে বদ্ধ পরিকর আল বদর ও আল শামসের নেতাদের হাতে তুলে দেন বুদ্ধিজীবীসহ বিশেষ বিশেষ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নামের তালিকা। বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা হিসাবে সেই রাতেই আলবদর বাহিনী সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমদ, আ.ন.ম. গোলাম মোস্তফাকে তাঁদের বাসভবন থেকে অপহরণ করে। তাঁরা আর কখনও ফিরে আসেননি।
মার্কিন সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছে। এই নৌবহরে এক লাখ টন ওজনের বিশ্বের সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ রয়েছে, দুটি ডেস্ট্রয়ার রয়েছে। রয়েছে বোমারু বিমান। এটি চিটাগং এসে পৌঁছালে নিশ্চিত ভাবেই মুক্তিযুদ্ধ নতুন দিকে মোড় নেবে। এই নৌবহর পাঠানোর উদ্দেশ্য কী, পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে কথা উঠলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেয়ার্ড জানান, এটি আমেরিকার নিয়মিত কন্টিনজেন্সি প্ল্যানিং’-এর অংশ এবং পূর্ব পাকিস্তানে আটকে পড়া আমেরিকানদের উদ্ধারের জন্যই একে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বড়জোর ২০০ মার্কিন নাগরিককে উদ্ধারে এই বিশাল নৌবহরের কী প্রয়োজন, লেয়ার্ড তা পরিস্কার করেন না।
কিন্তু যা পাকিস্তান ও আমেরিকার হিসাবে ছিল না তা হলো ভারত মহাসাগর এলাকায় আগে থেকেই টহলরত তিনটি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন যা সোভিয়েত ইউনিয়নের ১০ অপারেটিভ ব্যাটল গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। ভারত মহাসাগর থেকে চীন সাগর পর্যন্ত মোট ৫০০ মাইল সমুদ্র এলাকায় এইগুলো নিয়মিত টহল দিত। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সোভিয়েত নৌবহরটি তাদের দায়িত্ব শেষে পূর্বনির্ধারিত বিশ্রামের উদ্দেশ্যে ঘাঁটি ভ্লাদিভোস্তোকে ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু মার্কিন পরিকল্পনা আঁচ করতে পেরে সোভিয়েত নৌ কমান্ড তাদের সমুদ্র এলাকায় টহল অব্যাহত রাখতে বলেন। তাদের স্থানে নতুন যে নৌবহরটি ইতিমধ্যেই দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রওনা হয়েছিল যাতে ছিল কয়েকটি পারমাণবিক শক্তিচালিত যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী আণবিক ডুবোজাহজ, তাদের যাত্রাও অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেকোনো বিপদের মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করতে ভ্লাদিভোস্তোক থেকে আরও অতিরিক্ত নৌযান প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়, যার ফলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভারত মহাসাগর এলাকায় মোট সোভিয়েত নৌযানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মোড় নিতে পারত বৃহৎ এক যুদ্ধে কিন্তু মার্কিন সপ্তম নৌবহর ব্যর্থ হয় ১৫ তারিখের আগে বঙ্গোপসাগরে ঢুকতে। সৌভাগ্যবশত এই দুই আণবিক অস্ত্রবাহী নৌবহর একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার আগেই ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ঢুকে যায় মিত্রবাহিনী। এর ফলে লে. জেনারেল নিয়াজি বাধ্য হন আত্মসমর্পণ করতে।
এই দুই আণবিক অস্ত্রবাহী নৌবহর মুখোমুখি হলে এক দিকে ভারতের বন্ধু সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং অন্যদিকে পাকিস্তানের বন্ধু আমেরিকা কি স্বিধান্ত নিত এবং তার পরিত্রমায় মুক্তিযুদ্ধ কোন দিকে মোড় নিত তা অনুমান করা দুষ্কর। তবে এটা বোঝা দুষ্কর নয় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছেনে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদান অনস্বীকার্য।
Comments