ঢাকা শহরকে আমি ততটুকু চিনি যতটুকু মৌমাছি চেনে ফুলের মধু, ঢাকা আমাকে ততটুকু আবিষ্ট করে রাখে যতটুকু ভক্তি নিয়ে শিয়া যুবকরা আশুরার সময় তাদের গা রক্তাক্ত করে, এজন্য আমার বইয়ের প্রথম গল্প ‘সাদা শার্ট পরা লোকটা’ গল্পটা ঢাকার বর্তমান প্রেক্ষাপটে লেখা। গল্পটা এক অর্থে আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতায় দুষ্ট; আমি যা লিখতে চেয়েছি, যে মেসেজ দিতে চেয়েছি, যা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি তার জন্য কি সত্যি প্রয়োজন ছিল ঢাকা শহরের পটভুমিতে গল্পটা লেখা? গল্পটা কি আবদ্ধ হয়ে যায়নি শুধু একটি শহরের মধ্যে? উন্মুক্ত কি রাখা যেত না ‘স্থান’ ব্যাপারটা? কিন্তু ঐ যে, ঢাকা আমাকে জড়িয়ে রেখেছে অথবা আমি ঢাকাকে জড়িয়ে রেখিছি নিবিষ্ট ভাবে এবং সেজন্য গল্পে ঢাকা শহরটাই উঠে এসেছে।
ঢাকার ইতিহাস নিয়ে আমার আগ্রহ আছে, কিছু পড়াশোনাও আছে। ‘সাদা শার্ট পরা লোকটা’ যদিও একটা নির্দিষ্ট ঘটনার উপর নির্মিত তবুও গল্পটি লেখার সময় নিজেকে আটকাতে পারিনি ইতিহাস টেনে আনার প্ররোচনা থেকে। তাই সাদা শার্ট পরা লোকটার সেই সন্ধ্যায় যেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার ফাকে ফাকে উঠে এসেছে সেবাস্তিয়ান মানরিকের ১৬৪১ সালের ভ্রমণ কাহিনি। তার বয়ানে আমি জানিয়ে দিয়েছি সেই ঢাকায় সেইসময় বসবাসরত ওলোন্দাজ ও ফরাসিদের দিনলিপি। গল্পের ফাকে ফাকে এসব তথ্য ছুড়ে দিতে আমার বেশ আনন্দ হয়েছিল।
এই গল্পের কথন ভঙ্গিটা হয়ত ইউনিক। গল্পের শুরু করেছি ‘আপনি দেখলেন’ এই বলে। আমি ‘আপনাকে’ মানে পাঠককে দাড় করিয়ে দিয়েছি ঢাকার কোন এক রাস্তার মোড়ে আর বলেছি ‘আপনি আছেন কাছেই তাবে রাস্তার কোলাহলে আপনি শুনতে পারছেন না তাদের কথোপকথন।’ এরপর গল্পটি এগিয়ে নিয়েছি; বর্ননা করেছি সেই সন্ধ্যায় গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কিভাবে ঢাকার পাকস্থলিতে ঢুকে যায়।
গল্পের এক পর্যায়ে আমি পাঠকের মগজে ঢুকবার চেষ্টা করি এবং সফল হই; পাঠকের ভাবনাকে প্রভাবিত করি এই লিখে যে ‘লোকটার কেতাবি শার্ট প্যান্ট ও পরিছন্ন জুতো দেখে আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন সে চাকুরিজীবি।’ এরপর এও লিখি ‘কয়েক বছর আগে পত্রিকায় আপনি পড়েছিলেন যে ঢাকা শহর বসবাসের জন্য পৃথিবীর দ্বিতীয় অযোগ্য স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।’ ‘ এটা লিখে আমি পাঠককে একদম আমার থাবার মধ্যে আনার চেষ্টা করি। পাঠক হয়ত সেই সময়ের পত্রিকার রিপোর্টটি পড়েছে অথবা পড়েনি; কিছুই আসে যায় না তাতে; আমি বাধ্য করি সেই অবস্থানে নিয়ে যেতে যেখানে তার মনে হবে সে আসলে ঢাকা সংক্রান্ত সেই রিপোর্টটি পড়েছিল। সেই অবস্থানে আমি পাঠককে নেই এবং তারপর ঢাকা সংক্রান্ত কিছু তথ্য দেই। মুল গল্পের সাথে এই তথ্যগুলোর তেমন সম্পর্ক নেই কারন যে ঘটনাটি লিখেছি তা ঢাকা ছাড়া অন্য শহরেও হতে পারত কিন্তু গল্পটির ক্লাইমেক্স জোড়াল করার অভিপ্রায়ে তথ্যগুলো আমি feed করি পাঠকের মাথায়।
গল্পটির প্রাথমিক নাম ছিল ‘সন্ধ্যা’। রোমান্টিক এই নাম দিয়ে ভয়ঙ্কর একটা গল্প বলব-এই ছিল পরিকল্পনা। কোলকাতার ব্যান্ড ফসিলস্-এর একটা কনসেপ্ট এ্যালবামে সাদা জামা পরা এক লোকের মৃতদেহ রেললাইনের ধারে পাওয়া গিয়েছিল। এ্যালবামের কভারেও ঝোলানে ছিল সাদা একটি শার্ট। রক্তাক্ত। সেই এ্যালবামের সং রাইটার এবং ব্যান্ডের ভোকালিস্ট রুপম ইসলাম এক যায়গায় বলে ওঠেন ‘কেন মারা গেল তোর সপ্নের সেই সাদা জামা পরা লোক?’ তারপর তিনি প্রশ্ন রাখেন ‘স্বাভাবিক খুন নাকি অস্বাভাবিক দূর্ভোগ?’ আমার চিন্তাভাবনাকে যেসব সং রাইটার প্রভাবিত করেন তাদের মধ্যে রুপম ইসলাম অন্যতম। তার সেই চরিত্রের পরিণতি যেহেতু বিয়োগান্ত এবং আমার গল্পের চরিত্রকে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মাঝে নিয়ে ফেলেছি তাই আমার মনে হয়েছে তাকেও সাদা শার্ট পরিয়ে দেই। আর সাদা শার্টের উপর রক্তের ছোপ ছোপ দাগ বেশ আকর্ষণীয়।
কলেজে পড়বার সময় শেখ সাহেদের একটা গান শুনেছিলাম। গানটা সেই সময় আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছিল যেখানে সাদা শার্ট পরা ব্যর্থ একজন মানুষের গল্প বলেছিলেন ভিন্নধর্মী এই সং রাইটার। তার সেই গানের চরিত্রের সাথে আমার গল্পের চরিত্রের মিল নেই; আমার গল্পের লোকটার বয়স কম, ভাল চাকরি করে, পরিবার আছে, জীবনে উন্নতির সম্ভবনা আছে; শেখ শাহেদের চরিত্রটি ছিল পৌঢ়, ব্যর্থ, হতাশ। কিন্তু আমার অবচেতন মনে তার গানের একটা লাইন ‘সাদা শার্ট পরা, কলারেতে ময়লা, হেটে চলে যায় যে লোকটা’ গেথে আছে দৃঢ়ভাবে। এই গল্পটা লেখার পর ‘সন্ধ্যা’র যায়গায় নাম দিয়েছিলাম ‘ঢাকার নিঃশ্বাস’। গল্পটা কিছুদিন লেখার খাতায় পড়েছিল। যখন বইয়ের জন্য তুলে নিলাম সেই সময় শেখ শাহেদের পুরনো গানটি হঠাৎ রেডিওতে শুনলাম। আমার মনে হলো গল্পটার নাম ‘সাদা শার্ট পরা লোকটা’ বেশী যথাযথ হবে। বইটা যেদিন মেলায় আসলো, কাকতালীয় ভাবে সেইদিনই শেখ শাহেদের সাথে দেখা! আমি তার কাছে যেয়ে বললাম আমার ‘বাতাস পরিবর্তনের গল্প ও অন্যান্য’ নামে আজ একটা বই বেড়িয়েছে, তাতে সাদা শার্ট পরা লোকটা নামে একটা গল্প আছে। তিনি খুব উৎসাহ নিয়ে বইয়ের ব্যপারে জানতে চাইলেন, বুক পকেট থেকে নোটবুক বের করে টুকে নিলেন প্রকাশনীর নাম, স্টল নাম্বার।
গল্পটা হয়ত একটু বেশিই ডার্ক হয়ে গেছে। আমার এত নির্মম হওয়া উচিত হয়নি লোকটা প্রতি।আমার যদি উপায় থাকতো, সুযোগ থাকতো, লোকটিকে আমি তার মায়ের কাছ ফেরত পাঠাতাম। গল্পে আমি যখন লিখেছি ...সকালে টেলিভিশন খুললেই যখন সংবাদপাঠিকা নিরুত্তাপহীন গলায় আপনাকে খবর দেয় আগের রাতে কুড়িল ফ্লাইওভারের নীচ থেকে সাদা শার্ট পরা এক লোকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে তখন আপনি বেশ বিমূঢ় হয়ে পড়েন। সংবাদ পাঠিকা আপনাকে জানায় দুর্বিত্তরা লোকটির সবকিছু কেড়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখেছিল রাস্তার ধারে। আপনার বিমূঢ়তার মাত্রা বাড়ে যখন সংবাদ পাঠিকা জানায় লোকটি মহাখালীতে যাচ্ছিল তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে,... তার পরই আমি পরিবর্তন করতে পারতাম এর গতিপথ। লিখতে পারতাম - এক ঝলক লাশের ছবি দেখায় আর আপনি দেখেন কাল বা নীল বা সবুজ সার্ট পরা একজনের মৃতদেহ।
কিন্তু লিখিনি।
ঢাকার ইতিহাস নিয়ে আমার আগ্রহ আছে, কিছু পড়াশোনাও আছে। ‘সাদা শার্ট পরা লোকটা’ যদিও একটা নির্দিষ্ট ঘটনার উপর নির্মিত তবুও গল্পটি লেখার সময় নিজেকে আটকাতে পারিনি ইতিহাস টেনে আনার প্ররোচনা থেকে। তাই সাদা শার্ট পরা লোকটার সেই সন্ধ্যায় যেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার ফাকে ফাকে উঠে এসেছে সেবাস্তিয়ান মানরিকের ১৬৪১ সালের ভ্রমণ কাহিনি। তার বয়ানে আমি জানিয়ে দিয়েছি সেই ঢাকায় সেইসময় বসবাসরত ওলোন্দাজ ও ফরাসিদের দিনলিপি। গল্পের ফাকে ফাকে এসব তথ্য ছুড়ে দিতে আমার বেশ আনন্দ হয়েছিল।
এই গল্পের কথন ভঙ্গিটা হয়ত ইউনিক। গল্পের শুরু করেছি ‘আপনি দেখলেন’ এই বলে। আমি ‘আপনাকে’ মানে পাঠককে দাড় করিয়ে দিয়েছি ঢাকার কোন এক রাস্তার মোড়ে আর বলেছি ‘আপনি আছেন কাছেই তাবে রাস্তার কোলাহলে আপনি শুনতে পারছেন না তাদের কথোপকথন।’ এরপর গল্পটি এগিয়ে নিয়েছি; বর্ননা করেছি সেই সন্ধ্যায় গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কিভাবে ঢাকার পাকস্থলিতে ঢুকে যায়।
গল্পের এক পর্যায়ে আমি পাঠকের মগজে ঢুকবার চেষ্টা করি এবং সফল হই; পাঠকের ভাবনাকে প্রভাবিত করি এই লিখে যে ‘লোকটার কেতাবি শার্ট প্যান্ট ও পরিছন্ন জুতো দেখে আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন সে চাকুরিজীবি।’ এরপর এও লিখি ‘কয়েক বছর আগে পত্রিকায় আপনি পড়েছিলেন যে ঢাকা শহর বসবাসের জন্য পৃথিবীর দ্বিতীয় অযোগ্য স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।’ ‘ এটা লিখে আমি পাঠককে একদম আমার থাবার মধ্যে আনার চেষ্টা করি। পাঠক হয়ত সেই সময়ের পত্রিকার রিপোর্টটি পড়েছে অথবা পড়েনি; কিছুই আসে যায় না তাতে; আমি বাধ্য করি সেই অবস্থানে নিয়ে যেতে যেখানে তার মনে হবে সে আসলে ঢাকা সংক্রান্ত সেই রিপোর্টটি পড়েছিল। সেই অবস্থানে আমি পাঠককে নেই এবং তারপর ঢাকা সংক্রান্ত কিছু তথ্য দেই। মুল গল্পের সাথে এই তথ্যগুলোর তেমন সম্পর্ক নেই কারন যে ঘটনাটি লিখেছি তা ঢাকা ছাড়া অন্য শহরেও হতে পারত কিন্তু গল্পটির ক্লাইমেক্স জোড়াল করার অভিপ্রায়ে তথ্যগুলো আমি feed করি পাঠকের মাথায়।
গল্পটির প্রাথমিক নাম ছিল ‘সন্ধ্যা’। রোমান্টিক এই নাম দিয়ে ভয়ঙ্কর একটা গল্প বলব-এই ছিল পরিকল্পনা। কোলকাতার ব্যান্ড ফসিলস্-এর একটা কনসেপ্ট এ্যালবামে সাদা জামা পরা এক লোকের মৃতদেহ রেললাইনের ধারে পাওয়া গিয়েছিল। এ্যালবামের কভারেও ঝোলানে ছিল সাদা একটি শার্ট। রক্তাক্ত। সেই এ্যালবামের সং রাইটার এবং ব্যান্ডের ভোকালিস্ট রুপম ইসলাম এক যায়গায় বলে ওঠেন ‘কেন মারা গেল তোর সপ্নের সেই সাদা জামা পরা লোক?’ তারপর তিনি প্রশ্ন রাখেন ‘স্বাভাবিক খুন নাকি অস্বাভাবিক দূর্ভোগ?’ আমার চিন্তাভাবনাকে যেসব সং রাইটার প্রভাবিত করেন তাদের মধ্যে রুপম ইসলাম অন্যতম। তার সেই চরিত্রের পরিণতি যেহেতু বিয়োগান্ত এবং আমার গল্পের চরিত্রকে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মাঝে নিয়ে ফেলেছি তাই আমার মনে হয়েছে তাকেও সাদা শার্ট পরিয়ে দেই। আর সাদা শার্টের উপর রক্তের ছোপ ছোপ দাগ বেশ আকর্ষণীয়।
কলেজে পড়বার সময় শেখ সাহেদের একটা গান শুনেছিলাম। গানটা সেই সময় আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছিল যেখানে সাদা শার্ট পরা ব্যর্থ একজন মানুষের গল্প বলেছিলেন ভিন্নধর্মী এই সং রাইটার। তার সেই গানের চরিত্রের সাথে আমার গল্পের চরিত্রের মিল নেই; আমার গল্পের লোকটার বয়স কম, ভাল চাকরি করে, পরিবার আছে, জীবনে উন্নতির সম্ভবনা আছে; শেখ শাহেদের চরিত্রটি ছিল পৌঢ়, ব্যর্থ, হতাশ। কিন্তু আমার অবচেতন মনে তার গানের একটা লাইন ‘সাদা শার্ট পরা, কলারেতে ময়লা, হেটে চলে যায় যে লোকটা’ গেথে আছে দৃঢ়ভাবে। এই গল্পটা লেখার পর ‘সন্ধ্যা’র যায়গায় নাম দিয়েছিলাম ‘ঢাকার নিঃশ্বাস’। গল্পটা কিছুদিন লেখার খাতায় পড়েছিল। যখন বইয়ের জন্য তুলে নিলাম সেই সময় শেখ শাহেদের পুরনো গানটি হঠাৎ রেডিওতে শুনলাম। আমার মনে হলো গল্পটার নাম ‘সাদা শার্ট পরা লোকটা’ বেশী যথাযথ হবে। বইটা যেদিন মেলায় আসলো, কাকতালীয় ভাবে সেইদিনই শেখ শাহেদের সাথে দেখা! আমি তার কাছে যেয়ে বললাম আমার ‘বাতাস পরিবর্তনের গল্প ও অন্যান্য’ নামে আজ একটা বই বেড়িয়েছে, তাতে সাদা শার্ট পরা লোকটা নামে একটা গল্প আছে। তিনি খুব উৎসাহ নিয়ে বইয়ের ব্যপারে জানতে চাইলেন, বুক পকেট থেকে নোটবুক বের করে টুকে নিলেন প্রকাশনীর নাম, স্টল নাম্বার।
গল্পটা হয়ত একটু বেশিই ডার্ক হয়ে গেছে। আমার এত নির্মম হওয়া উচিত হয়নি লোকটা প্রতি।আমার যদি উপায় থাকতো, সুযোগ থাকতো, লোকটিকে আমি তার মায়ের কাছ ফেরত পাঠাতাম। গল্পে আমি যখন লিখেছি ...সকালে টেলিভিশন খুললেই যখন সংবাদপাঠিকা নিরুত্তাপহীন গলায় আপনাকে খবর দেয় আগের রাতে কুড়িল ফ্লাইওভারের নীচ থেকে সাদা শার্ট পরা এক লোকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে তখন আপনি বেশ বিমূঢ় হয়ে পড়েন। সংবাদ পাঠিকা আপনাকে জানায় দুর্বিত্তরা লোকটির সবকিছু কেড়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখেছিল রাস্তার ধারে। আপনার বিমূঢ়তার মাত্রা বাড়ে যখন সংবাদ পাঠিকা জানায় লোকটি মহাখালীতে যাচ্ছিল তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে,... তার পরই আমি পরিবর্তন করতে পারতাম এর গতিপথ। লিখতে পারতাম - এক ঝলক লাশের ছবি দেখায় আর আপনি দেখেন কাল বা নীল বা সবুজ সার্ট পরা একজনের মৃতদেহ।
কিন্তু লিখিনি।
Comments