বঙ্গবন্ধুকে ঘৃণা করার প্রাথমিক কারন খুব সরল - তিনি পাকিস্তানকে দুইভাগ করেছেন। ধর্মের ভিত্তিতে সৃষ্ট একটা দেশকে দুইভাগ করাতে পাকিস্তান প্রেমিকদের কাছে তিনিতো ঘৃণার পাত্রই হবেন। ধারনা করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে সৃষ্ট পাকিস্তান সৌদি আরবের সাথে মিলে ইসলামের ঝান্ডা উড়াবে। কিন্তু ১৯৫২ সালেই স্পষ্ট হয়ে যায় এ ঝান্ডা মুখ থুবড়ে পরতে যাচ্ছে; কালের আবর্তনে পরিস্কার হয়েছে পাকিস্তান ইসলামের ঝান্ডা তো উড়াতে পারেইনি বরং কলঙ্ক রুপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের কুটিলতা এবং পাকিস্তানি আর্মির বর্বরতা এসব পাকিস্তান প্রেমিকরা অস্বীকার করতে পারে না তাই তাদের অস্বস্তি হয় এই বিচ্ছেদে, এই বিভক্তিতে। এই পাকিস্তান প্রেমিকদের মাথায় ঢোকে না যে ইসলাম আর পাকিস্তান এক নয়, তাদের মাথায় ঢোকে না যে ইসলাম ও সৌদি আরবও এক নয়; এদের মস্তিস্কে ঢোকানো হয়েছে যে এই তিনের মিলনেই ইসলামী জোস, ঈমানি জোস তাই পাকিস্তানের যে কোন শোচনীয় পরাজয়কে তারা ইসলামের পরাজয় হিসেবে দেখে। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়কেও তারা ইসলামের পরাজয় হিসেবে দেখে আর যেহেতু এইসব পাকিস্তানি প্রেমিকেরা জেনেটিক ভাবেই গোড়া, তারা বঙ্গবন্ধুকে ঘৃণা করে নিজেদের বিকালঙ্গতা ঢাকার চেষ্টা করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এরা ঘৃণা করে ঠিকই কিন্তু এ কথা তো বলতে পারে না যে তাদের পেয়ারা পাকিস্তানকে ভাগ করে ফেলার জন্যই এই ঘৃণা। এ জন্য ইনিয়ে-বিনিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নীচে নামাতে চায় এরা এবং যুদ্ধ পরবর্তী বিধ্বস্ত দেশের করুন অবস্থার জন্য শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দায়ী করে। এসব লোকের দল কখনই সংখ্যায় কম ছিল না, না একাত্তরের আগে, না একাত্তরের পরে, না এখনও; সমাজের একদম উচুস্তর থেকে একদম নিচু স্তরে সবখানেই এরা ছিল, আছে।
১৯৭১ এ এরা পরাজিত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু আশায় আশায় ছিল একটা পাকিস্তান কনফেডারেশন গঠন হবে অচিরেই। অংক খুব সহজ - শেখ মুজিব বেচে থাকলে এটা হবে না। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এসেছে এই কারনেই; ১৯৭১-এ পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়ের পাল্টা আঘাত হিসেবে।
মুজিব বিদ্বেষ ও পাকিস্তান প্রেম সমার্থক। ১৯৭৫য়েও, ২০১৭তেও।
*শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। সৌদি আরব বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৬ আগস্ট। সাথে সাথে সুদানও স্বীকৃতি দেয়। বাদশাহ খালেদ ও সৌদী আরব সফররত সুদানের প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেরী নয়া রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানায়। এক বার্তায় বাদশাহ খালেদ খোন্দকার মোশতাকের সরকারের সঙ্গে দৃঢ়তর ইসলামী সংহতি ঘোষণা এবং বাঙ্গালিদের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে।
*বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খোন্দকার মোশতাক আহমদ নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টো মোশতাক সরকারকে স্বীকৃতি দেয় এবং ইসলামি সম্মেলন সংস্থার সব সদস্যদের আহ্বান জানায় স্বীকৃতি দিতে। সাথে সাথে নির্দেশ দেয় ‘বাংলাদেশি মুসলিম ভাইদের’ জন্য ৫০ হাজার টন চাল ও ১৫ মিলিয়ন গজকাপড় পাঠানোরও। কিন্তু নমরুদের শাসন আমল যেমন স্থায়ী হয়নি; খোন্দকার মোশতাক আহমদ, জুলফিকার আলী ভুট্টোর লালিত শাসনও স্থায়ী হয়নি।
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের কুটিলতা এবং পাকিস্তানি আর্মির বর্বরতা এসব পাকিস্তান প্রেমিকরা অস্বীকার করতে পারে না তাই তাদের অস্বস্তি হয় এই বিচ্ছেদে, এই বিভক্তিতে। এই পাকিস্তান প্রেমিকদের মাথায় ঢোকে না যে ইসলাম আর পাকিস্তান এক নয়, তাদের মাথায় ঢোকে না যে ইসলাম ও সৌদি আরবও এক নয়; এদের মস্তিস্কে ঢোকানো হয়েছে যে এই তিনের মিলনেই ইসলামী জোস, ঈমানি জোস তাই পাকিস্তানের যে কোন শোচনীয় পরাজয়কে তারা ইসলামের পরাজয় হিসেবে দেখে। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়কেও তারা ইসলামের পরাজয় হিসেবে দেখে আর যেহেতু এইসব পাকিস্তানি প্রেমিকেরা জেনেটিক ভাবেই গোড়া, তারা বঙ্গবন্ধুকে ঘৃণা করে নিজেদের বিকালঙ্গতা ঢাকার চেষ্টা করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে এরা ঘৃণা করে ঠিকই কিন্তু এ কথা তো বলতে পারে না যে তাদের পেয়ারা পাকিস্তানকে ভাগ করে ফেলার জন্যই এই ঘৃণা। এ জন্য ইনিয়ে-বিনিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নীচে নামাতে চায় এরা এবং যুদ্ধ পরবর্তী বিধ্বস্ত দেশের করুন অবস্থার জন্য শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দায়ী করে। এসব লোকের দল কখনই সংখ্যায় কম ছিল না, না একাত্তরের আগে, না একাত্তরের পরে, না এখনও; সমাজের একদম উচুস্তর থেকে একদম নিচু স্তরে সবখানেই এরা ছিল, আছে।
১৯৭১ এ এরা পরাজিত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু আশায় আশায় ছিল একটা পাকিস্তান কনফেডারেশন গঠন হবে অচিরেই। অংক খুব সহজ - শেখ মুজিব বেচে থাকলে এটা হবে না। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এসেছে এই কারনেই; ১৯৭১-এ পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়ের পাল্টা আঘাত হিসেবে।
মুজিব বিদ্বেষ ও পাকিস্তান প্রেম সমার্থক। ১৯৭৫য়েও, ২০১৭তেও।
*শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট। সৌদি আরব বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৬ আগস্ট। সাথে সাথে সুদানও স্বীকৃতি দেয়। বাদশাহ খালেদ ও সৌদী আরব সফররত সুদানের প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেরী নয়া রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানায়। এক বার্তায় বাদশাহ খালেদ খোন্দকার মোশতাকের সরকারের সঙ্গে দৃঢ়তর ইসলামী সংহতি ঘোষণা এবং বাঙ্গালিদের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে।
*বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খোন্দকার মোশতাক আহমদ নিজেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টো মোশতাক সরকারকে স্বীকৃতি দেয় এবং ইসলামি সম্মেলন সংস্থার সব সদস্যদের আহ্বান জানায় স্বীকৃতি দিতে। সাথে সাথে নির্দেশ দেয় ‘বাংলাদেশি মুসলিম ভাইদের’ জন্য ৫০ হাজার টন চাল ও ১৫ মিলিয়ন গজকাপড় পাঠানোরও। কিন্তু নমরুদের শাসন আমল যেমন স্থায়ী হয়নি; খোন্দকার মোশতাক আহমদ, জুলফিকার আলী ভুট্টোর লালিত শাসনও স্থায়ী হয়নি।
Comments