Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2017

বিমান দুর্ঘটনা

...বিমান দুর্ঘটনাগুলো বেশীরভাগ সময় ঘটে উড্ডয়নের প্রথম ৩ মিনিটের মধ্যে অথবা ল্যান্ডিং করার আগের শেষ ৮ মিনিটের মধ্যে। এই ১১ মিনিটই ঝুঁকিপূর্ণ। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা মারা যায় বিষাক্ত গ্যাস ও ধোয়ার কারনে অথবা মাটিতে আছড়ে পরার পর বিস্ফোরন জনিত আগুনের কারনে; মাটিতে আছড়ে পরার সময় না। *ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশান সেফটি বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী বেশীরভাগ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে পাইলটের ভূলে অথবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে। আবহাওয়ার কারনে খুব কমই বিমান দূর্ঘটনা ঘটে। আর গাড়ী, ট্রেন বা জাহাজ দূর্ঘটনার তুলনায় বিমান দূর্ঘটনার হার অনেক কম। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই হার তো আরও কম। ট্রান্সপোর্টেশান সেফটি বোর্ড ও এয়ার ক্র্যাশ তদন্তকারী সংস্থার হিশাব অনুযায়ী প্রতি ১.২ মিলিয়ন বিমান ফ্লাইটে ১ টি দূর্ঘটনা ঘটে। এর মানে একজন নিয়মিত বিমানযাত্রীর আকাশ পথে সঙ্কটে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম; প্রায় নেই বললেই চলে। আহত হবার সম্ভাবনা আরো কম - প্রতি ১১ মিলিয়নে মাত্র ১। উন্নত দেশে গাড়ী দূর্ঘটনার হার হলো প্রতি ১২০০০ এ ১ এবং বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে প্রতি ২০০০ এ ১। তাই বলা হয় বিমান যাত্রা অন্য যাত্রা থেকে

প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনাই প্র্যাকটিকাল বিজ্ঞাপন

মানুষের যদি নিজের মন ও শরীরের উপর মালিকানা থাকে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে কিনা সেটা সেই সিদ্ধান্ত নিক। যদি অন্য কেউই তাকে বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য করে, তবে মানুষটিতো তার নিজের জীবনের মালিক নয়, তার জীবন অন্যের কাছে বন্দী। আর বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেতে তো সে আত্মহত্যাকে বেছে নিতেই পারে, কারন সেতো মুক্তিই চাইছে! মুক্তি পেয়ে লাশকাটা ঘরে পড়ে থাকে সে। মর্গের বাইরে প্রিয়জন ডুকরে কাঁদে। আত্মহত্যাকারীরা হয়তো জীবন শেষ করে দিতে চায়না, শুধু চায় যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ দূর করতে। যন্ত্রণাটা দূর হয় তাই এক অর্থে তারা তো সফল। তাই আত্মহত্যা হয়তো সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান। একজন দুঃখী মানুষ যখন কোন উপায় খুঁজে পায় না যন্ত্রণা থেকে পরিত্রানের, যখন অত্যাচারের প্রতিকার পাওয়ার কোনো রাস্তা থাকে না, যখন ভবিষ্যৎ অন্ধকার; তখন দুঃখের ইতি ঘটাবার উপায় হিসেবে আত্মহত্যাকে বেছে নেয়। মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে সে যন্ত্রণা, দুঃখ, দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পায়। জীবিত মানুষেরা, যারা সেই যন্ত্রণার মাত্রা আনুধাবন করতে পারে না তারা কীভাবে বিশ্লেষণ করবে কাজ তা ভালো হয়েছে না খারাপ! জাপানে সামুরাই যোদ্ধারা একসময় নিজের পেট কেটে আত্মহত