...কিছুক্ষণ চললো দমকা হাওয়া আর বিদ্যুতের ঝলকানি, এরপর শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি। চিটাগাং সার্কিট হাউস ভিজল শীতল জলে। প্রেসিডেণ্ট জিয়াউর রহমান ও তার সফর সঙ্গীরা ঘুমিয়ে আছেন। ভ্রমনক্লান্তি, অনবরত মিটিং, চিটাগাং ক্লাব থেকে আসা সুস্বাদ্য রাতের খাবার এবং বৃষ্টির শব্দ হয়তো তাদের ঘুম গাড় করে দিয়েছে। প্রেসিডেণ্ট ঘুমতে যাবার আগে নির্দেশ দিয়েছেন সকাল পৌঁনে সাতটায় যেন তাকে সকালের চা পরিবেশন করা হয়। কিন্তু ঘড়ির অ্যালার্ম বা বেয়ারার ডাক শোনার আর সৌভাগ্য হয়নি প্রেসিডেণ্টের। রাত সাড়ে চারটায় তার ঘুম ভাঙ্গে রকেট লাঞ্চারের আওয়াজে। সারা চিটাগাং শহর যখন ভিজছিল বৃষ্টিতে, প্রেসিডেণ্ট যখন ঘুমচ্ছিলেন নির্বিঘ্নে, সার্কিট হাউসে নিয়োজিত গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা যখন পায়চারী করছিলো ধীরগতীতে, পুলিশ সদস্যরা যখন নিস্তেজ ভাবে শিফট পরিবর্তনের অপেক্ষা করছিলো, তখন ১৬ জন আর্মি অফিসারের একটা দল চিটাগাং সেনানিবাস থেকে একটা সাদা টয়োটা গাড়ি আর দুটো আর্মি পিকআপে কালুরঘাট ব্রিজ হয়ে সার্কিট হাউসের দিকে এগিয়ে যায়। দলের অপেক্ষাকৃত তরুন সদস্য লেফটেন্যান্ট রফিক পিকআপে বসে কাপা গলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফজলেকে জিজ্ঞেস করে ‘
This blog contains thoughts of a pro-Bangladeshi national on contemporary issues.