সিয়েরা লিওন বাংলাকে সে দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ২০০২ সালে। ২১ শে ফেব্রুয়ারীর উপর গ্রামীণফোনের সদ্য প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপন বাংলা ভাষার সেই স্বীকৃতিটাকে আবার মুল ধারায় এনে দিয়েছে।
এই স্বীকৃতি, এই অর্জন হঠাৎ করে হয়নি। এটা কূটনীতিক ভাবে হয়নি, বাণিজ্যিক ভাবে হয়নি, রাজনৈতিক ভাবে হয়নি। এটা হয়েছিলো সে দেশের গৃহযুদ্ধ থামাতে এবং গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।
সিয়েরা লিওন পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ। ১৯৯১ সালে সেখানে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। গৃহযুদ্ধ প্রকট হতে থাকলে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশ এবং আরো ১২ টি দেশ শান্তি মিশনে যোগ দেয়। ভয়ানক পরিস্থিতির কারনে অনেক দেশ সেখান থেকে তাদের সেনা তুলে নেয়। বাংলাদেশ তখন সেখানে খুব অল্প সময়ের নোটিশে আরো সেনা পাঠায়। বাংলাদেশি সেনারা একাধারে গেরিলা নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করতে থাকে, সংঘাত ও দাঙ্গা দমন করতে থাকে, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মসূচি চালাতে থাকে এবং বিভক্ত জাতি গুলোর মধ্যে আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক ব্যাবস্থা নেয়।
যোগাযোগের মাধ্যমে হিসেবে বাংলাদেশী সেনারা ইংরেজী ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাও ব্যবহার করতে থাকে, স্থানীয় লোকজন কে শেখাতেও শুরু করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অন্তরিকতায় সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করে আগ্রহের সঙ্গে। বাংলা ভাষার সাথে সাথে তারা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে থাকে। একসময় দেখা গেলো স্থানীয়রা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাঙালি নাচ ও গান পরিবেশন করছে।
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকায় মুগ্ধ হয়ে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সিয়েরা লিওন সরকার বাংলা ভাষাকে সে দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কাববা বাংলাদেশ সেনাদলের নির্মিত একটি ৫৪ কিলোমিটার সড়ক উদ্বোধন কালে এই ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি রাজ্য বাদে আর কোথাও বাংলা ভাষা সরকারি ভাষা হিসেবে এই প্রথম স্বীকৃতি পায়।
এই স্বীকৃতির পর বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসারে সিয়েরা লিওনের সঙ্গে যতটুকু সাংস্কৃতিক বিনিময় হওয়া প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। হয়তো গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনটি একটি পালক যোগ করবে।
সিয়েরা লিওনে এই অর্জন ছাড়াও জাতিসংঘরের সামগ্রিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ কাতারে। পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা, নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে শান্তিরক্ষায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ সেই সব দেশের আস্থা অর্জন করছে এবং বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে।
এই স্বীকৃতি, এই অর্জন হঠাৎ করে হয়নি। এটা কূটনীতিক ভাবে হয়নি, বাণিজ্যিক ভাবে হয়নি, রাজনৈতিক ভাবে হয়নি। এটা হয়েছিলো সে দেশের গৃহযুদ্ধ থামাতে এবং গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ।
সিয়েরা লিওন পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ। ১৯৯১ সালে সেখানে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। গৃহযুদ্ধ প্রকট হতে থাকলে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেয়। বাংলাদেশ এবং আরো ১২ টি দেশ শান্তি মিশনে যোগ দেয়। ভয়ানক পরিস্থিতির কারনে অনেক দেশ সেখান থেকে তাদের সেনা তুলে নেয়। বাংলাদেশ তখন সেখানে খুব অল্প সময়ের নোটিশে আরো সেনা পাঠায়। বাংলাদেশি সেনারা একাধারে গেরিলা নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করতে থাকে, সংঘাত ও দাঙ্গা দমন করতে থাকে, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মসূচি চালাতে থাকে এবং বিভক্ত জাতি গুলোর মধ্যে আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক ব্যাবস্থা নেয়।
যোগাযোগের মাধ্যমে হিসেবে বাংলাদেশী সেনারা ইংরেজী ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাও ব্যবহার করতে থাকে, স্থানীয় লোকজন কে শেখাতেও শুরু করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের অন্তরিকতায় সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষাকে গ্রহণ করে আগ্রহের সঙ্গে। বাংলা ভাষার সাথে সাথে তারা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে থাকে। একসময় দেখা গেলো স্থানীয়রা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাঙালি নাচ ও গান পরিবেশন করছে।
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকায় মুগ্ধ হয়ে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সিয়েরা লিওন সরকার বাংলা ভাষাকে সে দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কাববা বাংলাদেশ সেনাদলের নির্মিত একটি ৫৪ কিলোমিটার সড়ক উদ্বোধন কালে এই ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি রাজ্য বাদে আর কোথাও বাংলা ভাষা সরকারি ভাষা হিসেবে এই প্রথম স্বীকৃতি পায়।
এই স্বীকৃতির পর বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসারে সিয়েরা লিওনের সঙ্গে যতটুকু সাংস্কৃতিক বিনিময় হওয়া প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। হয়তো গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনটি একটি পালক যোগ করবে।
সিয়েরা লিওনে এই অর্জন ছাড়াও জাতিসংঘরের সামগ্রিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ কাতারে। পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা, নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে শান্তিরক্ষায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ সেই সব দেশের আস্থা অর্জন করছে এবং বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে।
Comments