ব-দ্বীপ সদৃশ নাগরপুরের পূর্ব দিকে
ধলেশ্বরী এবং পশ্চিম পাশ ঘেষে আছে যমুনা নদী।একসময় এই যমুনা নদীর মাধ্যমে নাগরপুর
এলাকার সাথে সরাসরি কলকাতার ব্যবসায়িক
যোগাযোগ ছিল। নদী তীরবর্তী এলাকা হওয়ার কারনে এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরণের
ব্যবসা।
সতীশ রায় বাহাদুর চৌধুরী নামক ব্যবসায়ী
নাগরপুর চৌধুরী বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা। ৫৪ একর জমির ওপর তিনি শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত এই
বাড়িটি বানিয়েছিলেন। গোটা জমিদার বাড়িকে আসলে ছোটখাটো একটা নগর মনে হয়। বাড়িতে ঘরের
সংখ্যা অনেক। কোনোটা নায়েবদের জন্য, কোনোটা চাকরবাকরদের, কোনোটা বা আশ্রিতদের জন্য। অতিথিমহলও ছিল আলাদা।
এ বাড়ি থেকে সতীশ রায় বাহাদুর এলাকার
জমিদারি পরিচালনা করতেন। অভ্যন্তরের পুরো কাজ সুদৃশ্য শ্বেত পাথরে গড়া। রয়েছে
ঘোড়ার দালান, পরীর
দালান, রংমহল। চারতলাবিশিষ্ট
মুল দালানটি সবচাইতে বড়। পশ্চিম দিকে আছে ঘোড়ার দালান যা
তিন তলা উঁচু।
বাড়ির একেবারে দক্ষিণে রয়েছে ১১ একর জমির ওপর একটি বিরাট দিঘি।
জমিদার সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী এলাকায়
স্কুল, কলেজ, মন্দির, দাতব্য চিকিৎসালয়, খেলার মাঠ ও অনেক হাটবাজার প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন। বৃটিশ সরকার তাকে সাধারণ
জনগোষ্ঠীর জন্যে সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘রায় বাহাদুর’ খেতাবে ভূষিত করে।
দেশভাগের পরপর সতীশ চন্দ্র পরিবারসহ
ভারতে চলে যান।
Comments