বাংলাদেশের চলচিত্র জগত একটা বাঁক অতিক্রম করছে। নতুন শৈলীতে তৈরি হচ্ছে চলচিত্র। চলচিত্রের অন্যতম target audience 'মধ্যবিত্তরা' হলে যেয়ে ছবি দেখা শুরু করেছেন।
১৯৯০ দশকের শেষ থেকে পুরো ২০০০ দশক গতানুগতিক ছবির জোয়ার ছিল। রুচিশীল কিছু খুব একটা আসেনি। পরিবর্তন শুরু হয় ২০১০ দশকে। এই পরিবর্তন ধীরে ধীরে এখন একটা রুপ নিতে শুরু করেছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন চলচিত্রে লগ্নি করতে আসছে। নির্মান হচ্ছে ডিজিটাল সিনেমা হল। ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব নিচ্ছে প্রফেশনালেরা। শিল্পমনস্ক তরুনরা সব যুগেই ছবি বানাতে চাইতেন কিন্তু পরিস্থিতি অনুকুলে ছিল না। এবার হয়তো কিছু একটা হবে। বাংলাদেশের চলচিত্র জগতে নতুন একটা যুগ আনার মিছিলে আমার স্কুল ও কলেজ জীবনের বন্ধু সানিয়াত যোগ দিয়েছে।
সানিয়াত যে একদিন সিনেমা বানাবে তা নিয়ে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কোনদিন কোন দ্বিধা ছিল না। তবে কি বিষয় নিয়ে বানাবে তা নিয়ে দ্বিধা ছিল। আমাদের বেশীরভাগ বন্ধু বান্ধবের ধারণা ভুল প্রমাণিত করে সানিয়াত বানিয়েছে একটা মিষ্টি প্রেমের সিনেমা। সিনেমার নাম অল্প অল্প প্রেমের গল্প। সানিয়াত মানুষ হিসাবে আধুনিক ও ইন্টারেস্টিং, তার সিনেমাও তাই। সানিয়াত সিনেমায় নতুন একটা যুগ আনায় বিশ্বাসী, এই ছবি দিয়ে তার পথচলা শুরু।
অল্প অল্প প্রেমের গল্প একটি মিষ্টি প্রেমের ও সুরসমৃদ্ধ গানের ছবি। ঢাকার প্রায় সব প্রধান সিনেমা হল গুলোতে সিনেমাটা মুক্তি পেয়েছে ২৯ আগস্ট। সিনেমার মুল নায়ক নায়িকা নিলয় ও শখ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শম্পা রেজা, কাবিলা, জয়শ্রী কর জয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু, আন্না, হৃদি ও শামীম।
সানিয়াত শুধু ক্রিয়েটিভ না, সে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক ও সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ। এই তিনের সংমিশ্রণে ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’যে সিনেমাপ্রেমীদের চূড়ান্ত মনোরঞ্জন করবে, তাতে আমার সন্দেহ নেই। তবে সন্দেহ আছে ঘরে বসে ছবি দেখে ফেলায় অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া দর্শকেরা হলে যেয়ে এই সিনেমা দেখবে কিনা এই ব্যাপারে।
Comments