১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনের সময়কার কথা। এক আর্টকলেজ পড়ুয়া ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলে গেছে তার ভাইয়ের সাথে। ছেলের নাম-ডাক আছে কিছু, স্কুলে পড়ার সময় প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ছবি এঁকে। দোতলায় সিঁড়িতে বসা নেতাগোছের এক ভদ্রলোক। মুখভর্তি তার দাড়ি। ভদ্রলোক তাকে বলেন - আমরা আন্দোলনের নতুন ধারায় যাচ্ছি, এরা বুঝতে পারছে না স্লোগানের মর্ম, তুমি তো শিল্পী, তুমি বুঝবে - ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা’! আর্টকলেজ পড়ুয়া ছেলের চেতনার ভিতকে প্রবল ভাবে নাড়িয়ে দেয় এ স্লোগান, সে অনুরোধ করে - আরেকটা বলেন। এবার ভদ্রলোক অন্তরের সকল আবেগ দিয়ে বলেন - 'জয় বাংলা'। এই স্লোগান শুনে আর্টকলেজ পড়ুয়া ছেলের ভেতর একটা অদ্ভুত অনুভূতি জেগে উঠে। সে মুহূর্তেই সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনের সাথে। বলে - আমাকে কী করতে হবে বলুন। সেই শুরু হলো তার স্লোগানের সঙ্গে মিলিয়ে ছবি রাজনৈতিক আঁকা। এই ছেলে পরে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১১টায়, তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানের সামনে পাকিস্তানের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেয়। মুখভর্তি দাড়িওয়ালা লোকটি সিরাজুল আলম খান আর আর্টকলেজ পড়ুয়া ছেলেটি শিল্পী শাহাবু...
This blog contains thoughts of a pro-Bangladeshi national on contemporary issues.